ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : নিরামিষ খাবারের মধ্যে অনেকে আবার পনির পছন্দ করেন না। আবার অনেকেই দই পটল খুব ভালবাসেন। দই পটল করতে পটল অবশ্যই বিচি ছাড়া কচি হতে হবে। .
উপকরণ
টাটকা কচি পটল ৫০০ গ্রাম, .দই ২০০ গ্রাম, আদাবাটা বড় ১/২ চামচ, .লঙ্কাবাটা ১/২ চা চামচ, হলুদ বাটা ১/২ চা চামচ, .তেজপাতা দুটি, সামান্য হিং, পরিমান মতো নুন, .সামান্য চিনি, তেল, ঘি বড় ১ চামচ, .বাটা গরম মশলা (৩-৪ টি এলাচ, দারুচিনি ছোট টুকরো ৪-৫ টি), ফোড়নের জন্য জিরে। .
প্রণালী
পটলের পাতলা খোসা ছাড়িয়ে দু দিকের মুখ একটু করে কেটে ধুয়ে রেখে দিন। কড়াইতে তেল দিন। তেল গরম হলে পটল গুলো নুন হলুদ মাখিয়ে লালচে করে ভেজে রাখুন। পটল ভাজার তেল কালো হবে সেই জন্য এই ভাজা তেল অন্ন একটি পাত্রে ঢেলে রেখে দিন। আবার ভাল তেল দিন। তেলে একটু ঘি দিন, হিং, গোটাজিরে, তেজপাতা ও ফোড়ন দিন, এবার ওভেন অন করুন। হালকা গন্ধ বেরোলে, আদাবাটা, লঙ্কাবাটা, অল্প হলুদ বাটা চিনি ও পরিমান মতো নুন দিয়ে বেশ করে কষে নিন। মশলা কষা হয়ে গেলে দই অল্প চিনি দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। একটু নাড়াচাড়া করে ভাজা পটল গুলো দিয়ে দিন। প্রয়োজন হলে সামান্য জলের ছিটে দিন। নেড়েচেড়ে নামিয়ে ঢেকে দিন। .
যারা প্রথম রান্নাঘরে ঢুকেছেন। আপনাদের উদ্দেশ্যে প্রথমে জানাই নিরামিষ রান্নার কিছু টিপস। এই টিপস গুলি অবশ্য যারা প্রতিদিন নিরামিষ খান তারা জানেন।
★★ নিরামিষ রান্নায় হিং ব্যবহার করুন। যারা রান্না শিখতে চান তাদের উদ্দেশ্যে বলি, যে কোনো নিরামিষ রান্নায় যেমন আলু-পটল ডালনা, আলুর-দম, এঁচোর-আলু ডালনা, বা ছোলার ডাল যাই করুন না কেন একটি কমন মশলা কষা গোপনে বলে দিচ্ছি। সব রান্নাতেই কড়াইতে ঠান্ডা তেলে শুকনো লংকা, গোটা জিরে হিং ফোড়ন দিয়ে গ্যাস অন করুন । এবার তেল একটু গরম হলে মশলার গন্ধ পেলে, কড়াইতে সামান্য জলের ছিটে দিয়ে আদা বাটা, ও অন্যান্য বাটা যেমন চারমগজ, কাজু ইত্যাদি বাটা দিন। এর পর কসুন আর কড়াইতে লেগে গেলে হাত দিয়ে জলের ছিটে দিন। এরপর আপনার রান্নার সবজি বা উপকরণ দিন।
★★ পনির ভাজার পর গরম জলে ডুবিয়ে রাখবেন ১০ মিনিট, পনির নরম হবে।
★★যে কোনো রান্না বা ভাজায় শেষের দিকে নুন দেবেন, এতে সবজির গুন অক্ষত থাকবে আর ভাজা ভালো হবে। আর রান্নার শেষে চিনি।চিনি কিন্তু রান্নায় মিষ্টি বাড়ায় না, স্বাদে ভারসাম্য আনে।
★★ নিরামিষ রান্নায় ঝাল কম দেবেন, প্রয়োজনে গোটা কাঁচা লংকা দিন, যারা ঝাল খায় তারা পাতে খাবে।
★★ নিরামিষ রান্নায় জলের পরিবর্তে দুধ ব্যবহার করলে স্বাদ আসে। তবে দুধে ১/২ চামচ করেন ফ্লাওয়ার মিশিয়ে নিলে, টমেটো থাকলেও দুধ ফাটার সম্ভাবনা থাকবেনা।
★★ দুধের পরিবর্ত হিসাবে পরিবর্তে হাল্কা ক্রিম বা টকদই এক চিমটে চিনি ফেটিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
★★ জায়ফল, জয়িত্রী, কাসুরিমেথি,শা-জিরে, শা মরিচ , এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ, গোলমরিচ, সব মশলা হালকা চাটুতে টেলে গুঁড়ো করে যে কোনো নিরামিষ রান্নার শেষে ছড়িয়ে দিলে স্বাদ দ্বিগুন হয়। আর তার সাথে ঘী ও হিং+আদার রস। দেখবেন এই তিনটি জিনিসে আপনার রান্না স্বাদ বদলে দিয়েছে।
★★ সবসময় ঢেকে কোষবেন এতে খাবারের স্বাদ ও খাদ্যগুন বজায় থাকবে।
★★ সব সময় রান্নায় গরম জল ব্যবহার করবেন।
সবসময় সে চিকেন-মাটনই সুস্বাদু হবে তা নয়। একাধিক নিরামিশ রেসিপিও রয়েছে যা ততটাই লোভনীয় সুস্বাদু।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১১:০৯এএম/৫/১০/২০১৯ইং)
আপনার মতামত লিখুন :