• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০২:২১ অপরাহ্ন

কুবি উপাচার্যের সঙ্গে শিক্ষক নেতাদের ধস্তাধস্তি


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৮, ২০২৪, ১১:৪১ PM / ৪১
কুবি উপাচার্যের সঙ্গে শিক্ষক নেতাদের ধস্তাধস্তি

কুমিল্লা সংবাদদাতা : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের সঙ্গে শিক্ষক সমিতির নেতাদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশের সময় এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে ২৫ এপ্রিল সকালে সাতদফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় উপাচার্য-ট্রেজারার ও প্রক্টরকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে তাদের কার্যালয়ে তালা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নেতারা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, দুপুর ১টার দিকে প্রক্টরিয়াল বডির নেতৃত্বে কুবি শিক্ষক সমিতির লাগানো তালা ভাঙতে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। এ সময় তার সঙ্গে কয়েকজন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্রলীগের চিহ্নত বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে উপাচার্য প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে গেলে নিচতলায় শিক্ষক লাউঞ্জে অবস্থান করা শিক্ষক সমিতির নেতারা তাকে বাধা দেন। এ সময় তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। পরে শিক্ষককরা উপাচার্যকে কক্ষে পৌঁছে দেন। পরে সাহায্য কারী শিক্ষক ও বহিরাগতরা নিচে নামলে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানা পুলিশ ক্যাম্পাসে পৌছে পরিস্থিতি শান্তা করেন এবং ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, আমার কার্যালয়ে প্রবেশ করতে গেলে শিক্ষক সমিতির নেতারা আমাকে ধাক্কা দেন। এ সময় কয়েকজন শিক্ষকের সহায়তা আমি কার্যালয়ে গিয়ে বসি। পরে তারা নিচে নেমে এলে শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা করে। এতে ৪-৫ জন আহত হয়েছে।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাত দফা দাবি আদায়ের জন্য গত ২৫ এপ্রিল উপাচার্যসহ তিন দপ্তরে আমরা তালা দিয়েছি। দুপুরে বহিরাগত এবং ছাত্রীলীগের চিহ্নিত কিছু কর্মীকে নিয়ে উপাচার্য ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। এক পর্যায়ে তিনি আমাদের এক শিক্ষককে কনো দিয়ে আঘাত করেন। শিক্ষক সমিতির কোন নেতাকর্মী তাকে কোন ধরণের আঘাত কিংবা হামলা করেনি। তদন্তপূর্বক আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার বাদী করছি।

সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া জানান, খবর পেয়ে দ্রুত আমরা ক্যাম্পাসে যাই। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।