• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৮ অপরাহ্ন

বাগেরহাটের ফকিরহাটে টমেটো চাষে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২৫, ২০২৩, ১১:৩৪ PM / ২৪০
বাগেরহাটের ফকিরহাটে টমেটো চাষে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা

এস এম সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট বাগেরহাটের ফকিরহাটে অধিক লাভের আশায় টমেটো চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা। টমেটোর ফলন ও বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় টমেটোর দামও ভাল পাওয়া যাচ্ছে। আশাতীত দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা। অন্য কৃষকরাও টমেটো চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। কৃষি বিভাগ বলছে, উপজেলায় টমেটোর চাষে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানান, এসএসিপি’র প্রকল্পের আওতায় ফকিরহাটে ৮টি ইউনিয়নে ৪১০ শতক জমিতে মোট ৪১০জন কৃষক বর্তমানে টমেটো চাষ করছেন। কৃষকরা এই টমেটো স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রিয় করছেন। এর চাহিদা বেশি থাকায় কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছেন। আর্থিকভাবে তারা লাভবান হওয়ায় চাষেও আগ্রহ বাড়ছে ।

বেতাগার কৃষক রাজ্জাক শেখ বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শে, প্রশিক্ষণ নিয়ে ও তাদের সহযোগিতায় তিনি ১০শতক জমিতে টমেটো চাষ শুরু করেন। ইতিমধ্যে তিনি অর্ধলক্ষাধিক টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন। কিন্তু এই চাষ করতে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। পদ্মা সেতু হওয়ায় বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জেলায় এই টমেটো বিক্রি হচ্ছে। কৃষক সঞ্জয় চক্রবর্তী, আজমল মোড়ল, মাহমুদ শেখ, আনন্দ পাল সহ অনেক কৃষক জানান, উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে টমেটো চাষ করছেন। এর চাষ করে আশানুরূপ ফলন হওয়ায় আগামীতে আরো বেশী জমিতে টমেটো চাষাবাদের পরিকল্পনা করছেন। তারা আরো জানান, টমেটোর চারা লাগানোর দুই মাসের মধ্যে ফুল আসে। দুইমাস পর থেকে ফল ধরে। অন্য সবজি চাষের পাশাপাশি এসব কৃষকরা টমেটো চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন।

উপজেলার বিভিন্ন ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদীপ মন্ডল, বিপুল পাল, সোলাইমান আলী মন্ডল, বিপ্লব দাশ জানান, কৃষকদের টমেটো চাষে উদ্বুদ্ধ করার পর তারা এ চাষে আগ্রহী হয়েছেন। এসএসসিপির প্রকল্পের আওতায় তাদের প্রশিক্ষন দেওয়ার পর টমেটো চাষ শুরু করেন। কৃষি বিভাগ থেকে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। এসব কৃষকদের বীজ, পলিথিন, সার, সেড করার জন্য বাঁশ দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে। অন্য সবজি চাষের পাশাপাশি তারা টমেটো চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বৃষ্টি ও তাপমাত্রার নানা জটিলতা থাকলেও টমেটোর ভালো ফলন হয়েছে। বেশ লাভজনক হওয়ায় স্থানীয় কৃষকদের এই টমেটো চাষের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। তিনি আরো বলেন, গ্রামের কৃষকরা এই চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। কৃষি বিভাগ এসব কৃষকদের সকল প্রকার সহযোগিতা করে থাকেন।