• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন

প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেই জনসেবা করতে হবে : কাউন্সিলর ইকবাল(ভিডিও)


প্রকাশের সময় : জুলাই ২৩, ২০১৯, ৭:২০ PM / ৬৪
প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেই জনসেবা করতে হবে : কাউন্সিলর ইকবাল(ভিডিও)

সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২নং ওর্য়াড কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। সিদ্ধিরগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বিএনপি নেতা থেকে যাকে এখন মানুষ কাউন্সিলর হিসেবেই বেশি চিনেন। রাজনীতির পালাবদলে একাধিকবার জেল হাজতে কাটাতে হয়েছে তাকে। তবে প্রতিবারই কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে ফের জনসেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে গিয়ে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার মোকাবেলা করেও স্বপ্ন দেখেন যিনি একদিন এই এলাকাও হবে নাসিক এর অন্যান্য এলাকার মতো আধুনিক নাগরিক সুবিধাসম্পন্ন। সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়ার বড়বাড়ীর নিজ বাস ভবনে ঢাকারনিউজ এর কথা হয় এই জনপ্রতিনিধির সাথে।

কথা বলে জানা গেলো, ব্যবসায়ী কিংবা রাজনীতিক নয়, নিজেকে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তিনি।

প্রায় ২ লাখ মানুষের বসবাসের এই ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা প্রায় ২২ হাজার। শেষ নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক কাউন্সিলর সেলিমা ইসলাম বিউটিকে ৭৮০ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

নির্বাচিত হয়ে তিনি এলাকার রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, নতুন নতুন মসজিদ নির্মান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়ন, ইভটিজিং-মাদক প্রতিরোধে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছেন।

নির্বাচনী ইশতেহার পূরন প্রসঙ্গে অনেকটা হতাশা নিয়ে ব্যর্থতার সুরে এই জনপ্রতিনিধি জানান- আসলে বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে নির্বাচনী ইশতেহার পূরন করা অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছে। এলাকার ২টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মানোন্নয়ন করা সম্ভব হয়ে উঠছেনা। দরিদ্র মহল্লাগুলোতে পানির ব্যবস্থা নেই, ভাল লেট্রিন ও ভাল শিক্ষা ব্যবস্থা নেই। এই এলাকায় বেশিরভাগই ইংলিশ স্কুল, যেগুলো ব্যয়বহুল হওয়াতে সেখানে দরিদ্র পরিবারের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করানো সম্ভব হয়ে উঠেনা।

তবে কাউন্সিলর নির্বাচিত হবার উক্ত এলাকার রাস্তাগাটে অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে বলে জানান তিনি। তার মতে ইতিমধ্যেই ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তা সংস্কারের কাজ হয়েছে।

ইকবাল হোসেন জানালেন- সরকারি স্কুল করার জন্য বা এলাকাবাসীর সুবিধার্থে অন্যান্য কাজগুলো করার জন্য যে সরকারি খাস জমির প্রয়োজন তা এই ওয়ার্ডে একেবারেই নেই, ফলে শিক্ষা-স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে চাহিদা মাফিক এলাকার বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন করাটা আসলে সম্ভব হয়ে উঠছেনা। তবে ব্যক্তিগতভাবে তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে জমি অধিগ্রহণ করার, যাতে করে খেলার মাঠ, সরকারি স্কুল ও পানির পাম্পের ব্যবস্থা করার।

নির্বাচিত কাউন্সিলর হিসেবে নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে এলাকার উন্নয়নে অনেক প্রত্যাশিত কাজ করতে না পারলেও ব্যক্তিগতভাবে দানশীল এ জনপ্রতিনিধি বাবা-মায়ের নামে পরিচালিত ট্রাস্ট ‘হাজী ইদ্রিস আলী ও হাজেরা কল্যাণ ট্রাস্ট’ থেকে নিয়মিত অসহায় দরিদ্রদের পাশে থেকে তাদের সাহায্য সহযোগিতা করে চলেছেন তিনি।

অনেকটা দুঃখ প্রকাশ করে এ জনপ্রতিনিধি জানালেন- নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে জলাবদ্ধতা, গ্যাসের সমস্যা, অলিগলিতে রাস্তাঘাট করা সম্ভব হচ্ছেনা। যে সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করা উচিত।

মাদক ও শিশু ধর্ষণ রোধে শুধুমাত্র প্রশাসন নয়, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনাকেই প্রাধান্য দেয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

তবে আলাপকালে কোনো অজানা কারণে বারবারই রাজনৈতিক প্রসঙ্গ এড়িয়ে যেতে দেখা গেছে পারিবারিক জীবনে অত্যন্ত সৌখিন ও প্রকৃতি প্রেমী এ মানুষটিকে। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যথেকেও তিনি স্বপ্ন দেখেন এলাকার সাধারন মানুষের জন্য তাদের প্রয়োজনীয় নাগরিক সেবা দেয়ার মধ্যদিয়ে সব সময় তাদের পাশে থাকার।

ভিডিও সংবাদটি দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন- 

https://www.youtube.com/watch?v=LEkZKZqNCic&feature=youtu.be
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/৭:২১পিএম/২৩/৭/২০১৯ইং)