• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩১ অপরাহ্ন

১ লক্ষ টাকা পুঁজিতে কোটিপতি ঠাকুরগাঁওয়ের হুমায়ুন


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ১৫, ২০২২, ৪:৫৯ PM / ৩১১
১ লক্ষ টাকা পুঁজিতে কোটিপতি ঠাকুরগাঁওয়ের হুমায়ুন

ফরিদুল ইসলাম রঞ্জু, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : স্বপ্ন ছিল নিজে বড় হয়ে অন্যদেরও বড় করবেন। এমন ইচ্ছাশক্তি থেকে মাত্র ২টি সেলাই মেশিন নিয়ে স্থাপন করেন কহিনুর পাপোষ নামে একটি কারখানা। মাত্র এক লক্ষ টাকা পুঁজি দিয়ে ব্যবসায় নেমে আজ তিনি কোটিপতি। নিজে সাবলম্বি হয়ে স্থানীয়দের ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের হুমায়ুন কবির। আর কাজ পেয়ে বেকারত্ব ঘুচাতে পেরে খুশি স্থানীয়রা। টানা ১৭ বছর ঢাকার বেঙ্গল কার্পেট কোম্পানিতে চাকরি করেন হুমায়ূন কবির। আশা ছিল নিজে কিছু করে বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরী করবেন। ঠাকুরগাঁওয়ে অধিক শিল্প কারখানা না থাকায় স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের তেমন কোনো সুযোগ ছিলো না। এতে পরিবার নিয়ে অনেকেই কষ্টে দিন পার করতেন। তাই হুমায়ূন কবির ঢাকায় চাকরি ছেড়ে দিয়ে মাত্র ১লক্ষ টাকা পুঁজি নিয়ে ২টি সেলাই মেশিন কিনে নিজ জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের সালন্দর ইউনিয়ের বরুনাগাঁও এলাকায় গড়ে তোলেন “কহিনুর পাপোষ” নামে একটি কারখানা। বর্তমানে তার এই কারখানাতে ২শতাধিক শ্রমিক প্রতিদিন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। আর কারখানায় তৈরী করা রং-বেরংয়ের ২৭ প্রকারের এসব পাপোষ এখন রাজধানী ঢাকা সহ পাঠানো হচ্ছে দেশের ৬৪ টি জেলায়। চাহিদা ও দাম ভাল পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন মালিক, অন্যদিকে শ্রমিকরাও পাচ্ছেন তাদের ন্যায্য অধিকার। শ্রমিকরা বলছেন আগে তাদের সংসার চালাতে অনেক কষ্ট করতে হত। রোজগারের জন্য পরিবারের প্রধানের উপরেই ছিল একমাত্র ভরসা। তবে এই পাপোষ কারখানাটি হওয়ায় তারা আয়ের সুযোগ পেয়েছেন ও পরিবার পরিজন নিয়ে স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করছেন।আর স্থানীয়রা বলছেন এমন শিল্প প্রতিষ্ঠান এলাকায় আরো স্থাপন করা হলে বহু বেকারের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে ও তারা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করতে পারবে। কারখানার মালিক হুমায়ুন কবীর জানান, তিনি মাত্র এক লক্ষ টাকা পুঁজি নিয়ে এ ব্যবসায় নামেন তিনি, বর্তমানে তার পুঁজি কোটি টাকা। তারপরও তিনি ব্যবসাটিতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন।এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে সকল ধরণের সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন বিসিক শিল্প নগরী ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়ের উপ-ব্যবস্থাপক মো: নুরেল হক।আর স্থানীয়দের দাবি জেলায় বেকারত্ব হতে মুক্তি দিতে ও ঠাকুরগাঁওয়ে আরো আধুনিক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে ব্যক্তি উদ্যোগের পাশাপাশি এগিয়ে আসতে হবে সরকারকে।