• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৪ অপরাহ্ন

ন্যান্সির জাতীয় পুরস্কারসহ অলংকার চুরি, গৃহপরিচারিকাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট


প্রকাশের সময় : মার্চ ১০, ২০২৪, ৯:৫৮ PM / ৬৭
ন্যান্সির জাতীয় পুরস্কারসহ অলংকার চুরি, গৃহপরিচারিকাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

ঢাকারনিউজ : কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সির দু’টি সোনার চেইন, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও ডায়মন্ডের লকেটসহ মূল্যমান অলংকার চুরি করে নিয়ে যান বাসার দুই গৃহপরিচারিকাসহ ৩ জন। যার বাজারমূল্য তিন লাখ ২১ হাজার টাকা। এ ঘটনায় করা মামলার সত্যতা পেয়ে দুই গৃহপরিচারিকাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন রাজধানীর গুলশান থানা পুলিশ। পুলিশের দেওয়া চার্জশিটটি আমলে নিয়ে নিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাশিদুল আলম। মামলার শুরু থেকে পলাতক থাকায় গৃহপরিচারিকা রিপার বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ন্যান্সির বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন তাহমিনা ও রিপা। তাহমিনাকে বাসা থেকে নিতে আসতেন শাকিল (তাহমিনার স্বামী)। গত বছরের ৫ এপ্রিল তারা বাসার কাউকে না জানিয়ে চলে যান। এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি রিপাও বাসার কাউকে কিছু না জানিয়ে চলে যান।

এ বিষয়ে গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই শাহ আলম বলেন, কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সির বাসা থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ সোনা ও ডায়ামন্ডের অলংকার চুরির মামলার গত ২২ ফেব্রুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে ন্যান্সির বাসার গৃহপরিচারিকা তাহমিনা, রিপা ও শাকিলকে (তাহমিনার স্বামী) আসামি করা হয়েছে। রোববার (১০ মার্চ) আদালত চার্জশিটটি গ্রহণ করে রিপার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩০ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত। মামলার অন্য দুই আসামি তাহমিনা ও তার স্বামী শাকিল জামিনে রয়েছেন।

কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি বলেন, একটা ব্যাপারেই আমার দুঃখ যে, আমি কিছুই আচ করতে পারিনি। এই মেয়েটাই বা তার বোন এগুলো নিয়েছে এমন কিছুও আমি বলিনি। গয়না তো অবশ্যই একটা বিষয়। আমার যে সম্মাননার মেডেলটা নিয়ে গেছে এটা তো আমি কোটি টাকা দিয়েও আর কোনোদিন ফিরে পাবো না। এটা কিন্তু ওর ছোট বোনই (তাহমিনার বোন মিনা) পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে বলছে যে, কীভাবে এগুলো আলমারি থেকে ময়লার নিচে করে নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তখন আমি পুলিশকে বলেছি যে আপনারা এই মেয়েটাকে (তাহমিনা) ধরেন। তখন পুলিশ বলছিল, মানবিক দিক বিবেচনা ভয় দেখিয়ে তথ্য উদ্ধার ও আপস করা যায় কি না। পুলিশের কথা মতো এরপর আমি ১৫/২০ দিন দেখলাম। কিন্তু আমাদের মুখের কথায় তাদের (আসামিদের) কিছুই হয় না। ওরা উল্টো আমাদের বোঝাতে চেষ্টা করে, এসব জিনিস জ্বিন-পরী এসে নিয়ে গেছে। তারা এসে দিয়েও যাবে।

ন্যান্সি বলেন, আমার শুধু একটা জায়গায় ক্ষোভ যে পুলিশ এখনো জবানবন্দি দেওয়া মেয়েটাকে (মিনা) আটক করেনি। মিনাকে যখন ছেড়ে দেওয়া হলো, তখন দুই বোন একসঙ্গে কান্নাকাটি করে বললো আমি নাকি তাদের ভয় দেখিয়েছি। আমার আরেকটা জায়গাতেও কষ্ট, আমি সব গহনা নিয়ে ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ডটা ফিরিয়ে দিতে বলেছিলাম। আমার ধারণা, পুলিশ ওই মেয়েটাকে (মিনা) ধরলে ব্যাপারটা আরও সহজ হয়ে যেতো।

অনেক ক্ষেত্রে গৃহকর্মী নির্যাতন হয়, সেটার বিচারও হয়, সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে কখনো কখনো গৃহমালিকরা হয়রানির শিকার হন। সেজন্য বাসায় সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে রাখতে হয়। নইলে যে কোনো সময় গৃহকর্মী বলে ফেলতে পারে, তার ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এসব বলে কেউ কেউ গৃহমালিকদের ব্ল্যাকমেইলও করে

‘এখন ওরা (আসামিরা) নিজেদের দরিদ্র বলে পার পেতে চাচ্ছে। কিন্তু দরিদ্র আর চোর তো এক কথা নয়। বড়লোকও চোর হতে পারে, একইভাবে দরিদ্রও। চোর তো চোরই’- বলেন ন্যান্সি।