• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৩ অপরাহ্ন

কেমন আছে সদ্য সাবেক হওয়া ছাত্রলীগ নেতারা?


প্রকাশের সময় : জুন ২৯, ২০১৮, ১১:৩৫ AM / ৫৫
কেমন আছে সদ্য সাবেক হওয়া ছাত্রলীগ নেতারা?

মাহাবুব আলম শ্রাবণ (বিশেষ প্রতিনিধি) : দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম ছাত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’।

ছাত্রলীগের অর্জন গৌরবময় সংগঠনের দাবিদার। ভাষা অান্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন, ঐতিহাসিক এগার দফা, ফলত একদফা, হাজার বছরের বাঙ্গালির শ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধ এবং নিকট অতীতে নব্বইয়ের গণআন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে এই সংগঠন। আজ কোথায় সেই ছাত্রলীগ?

গেলো ১১ ও ১২ই মে কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষনা ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো, আন্দোলন আর সংগ্রামের সূতিকাগার ও দেশের বৃহত্তম প্রাচীন ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন।

কেটে গেছে অনেকটা সময়। কেমন আছে সদ্য সাবেক হওয়া এই বিশাল ছাত্র সংগঠনের শীর্ষ নেতারা? অনেকের চোখ এখন অন্যত্র। এক প্রকার অবসর সময় কাটাচ্ছেন তারা। তবে, এখন মাঠে নেই ছাত্রলীগ এমন কথাই এখন প্রচলিত মাঠে ঘাটে, হারিয়ে যাচ্ছে অনেক তুখোড় নেতাও। আবার যারা পদ প্রত্যাশী তাদের অনেকেই আশায় বুক বাধছে চেয়ে আছে দেশরত্নের সিধান্তের অপেক্ষায়। এ যেন খড়া মাঠে এক পশলা বৃষ্টির অপেক্ষা।

সংগঠনের এক শীর্ষ নেতার সাথে আলাপ কালে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ছাত্রলীগ তার নিজ গতি থেকে এখন অনেক টাই পিছিয়ে পড়েছে, দলের অনেক নেতার বয়স নেই বিয়ে করে সংসারী হয়েছে।

আবার এমন নজির দেখা যায়, অনেকে ছাত্ররাজনীতি কে ঠেলে দিয়ে ছুটেছে ব্যাবসা অথবা চাকরীর দিকে। সংগঠনের সাবেক এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, আপাতত কিছুই করার নেই, কোন মিটিং নেই, মিছিল নেই, শুধুই নেত্রীর সিধান্তের অপেক্ষায় দিন যাচ্ছে।

তবে, রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে ছাত্রলীগ অনেক শক্তিশালী সংগঠন যা তারা অতীতেও প্রমান করেছে। তাই দ্রুত সংগঠনটি মাঠে আনতে হবে, যা আওয়ামী লীগ এর ভ্যানগার্ড হিসেবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে শক্ত অবস্থানে কাজ করার ক্ষমতা রাখবে।

ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে সিনিয়র নেতাদের সাথে বৈঠক হয়েছে কয়েকদফা। তবে, আশানুরূপ উত্তর না মিললেও দেশরত্নের আশ্বাস ছিলো প্রশান্তির বাহক তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের কমিটি তাড়াতাড়ি দিতে হবে। এতদিন কমিটি ঝুলিয়ে রাখা ঠিক না। ছাত্রলীগে বহিরাগত অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে গেছে এরকম অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী কমিটি ঘোষণার আগে যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাহলে ছাত্রলীগের কমিটি কি সময়ের ব্যাপার মাত্র?

বিগত ৭০ বছরে ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়েছে ২৮ বার। ছাত্রলীগের প্রথমদিককার কমিটিগুলো তাদের নির্ধারিত মেয়াদকালের ধারাবাহিতা বজায় রাখলেও এর ছন্দপতন ঘটেছে ১৯৯০ পরবর্তী কমিটিগুলো থেকে। ৯০ পরবর্তী কমিটিগুলোর সবগুলোই প্রায় ৪ বছর করে তাদের মেয়াদকাল অতিবাহিত করেছে। গত ৩০ বছরের ইতিহাসও তেমনটাই বলে। এই ৩০ বছরে নতুন কমিটি হয়েছে মাত্র ৭টি। অথচ গঠনতন্ত্র মেনে সঠিক সময়ে সম্মেলন হলে প্রায় ১৫টি নতুন কমিটি পাওয়ার কথা ছিল। এগুলোর কারণ হতে পারে নানা রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ, এরকমটাই মনে করে থাকেন বিশ্লেষকরা।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১১:৩৫এএম/২৯/৬/২০১৮ইং)