মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ
_________________________________________
ইদানীং প্রায়ই আমি একটা স্বপন দেখি
বিশাল রাস্তার দুই ধারে সারিবদ্ধ দাড়িয়ে
রোহিংগা,ফিলিস্তিনি আর সিরিয় লক্ষ কোটি আদম সন্তান,
সামনের কাতারে দাড়ায় ফিলিস্তিনি আর সিরিয় রক্তাক্ত শিশু গুলো।
সবার দৃষ্টি রাস্তার দিকে,আমিও তাকাই
দেখি কিছু পুরুষ উলংগ হয়ে মার্চপাষ্ট করছে
ভড়কে গিয়ে চোখ কচলাই,ভুল দেখছি নাতো?
না!এই তো সবাইকে চিনতে পারছি!
সবার সামনে দাড়িয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জাতিসংঘের মহাসচিব
পরের সারি গুলোতে পাশাপাশি দাড়িয়ে
যুক্তরাষ্ট্র,রাশিয়া,ইংল্যান্ড,চীন,ভারত,মায়ানমার আর ইসরাইলের
রাষ্ট্রপ্রধান গন,সবার হাতে নিজ দেশের পতাকা।
লাইনের শেষে দাড়ানো এক তাগড়া যুবক,শশ্রু মন্ডিত
দূর থেকে চিনতে একটু কষ্ট হয়,আরো গভীর দৃষ্টিতে তাকাই
এবার চিনতে পারি,ইনি সৌদি ক্রাউন প্রিন্স সালমান জুনিয়র
তার হাতে পতাকা নেই,তবে মাথায় রুমাল বাধা।
উলংগ বিশ্ব নেতাদের দেখে নারী ও শিশুরা লজ্জায় মুখ ঢাকে
পুরুষরাও ইতস্তত বোধ করে,এদিক ওদিক তাকায়
শিশুরা চিৎকার করে বলে,ছি!তোমাদের লজ্জা নেই?
নেতারা সমস্বরে বলে উঠেন,”নপংসুকদের লজ্জা থাকতে নেই”।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : এটি কোন সাহিত্য নয়, নিজস্ব ভাবনা মাত্র। সুতরাং কাব্য মান নিয়ে চিন্তা করে সময় নষ্ট করবেন না।—–খোরশেদ
আপনার মতামত লিখুন :