• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২০ অপরাহ্ন

সিরিয়াতেও কি এসেছিল এলিয়েন! (ভিডিও)


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০১৭, ৭:০৭ PM / ৩১
সিরিয়াতেও কি এসেছিল এলিয়েন! (ভিডিও)

 

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : সিরিয়ার আলেপ্পো শহরের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে রুক্ষ মরুভূমির বুকে অবস্থান আইন দারা গ্রামের। এর পাশেই একটি প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ পড়ে রয়েছে বহুদিন ধরে। স্থানীয়রা সেখানে খুব একটা যায় না। বহু আগে থেকে তারা শুনে এসেছে এই মন্দিরে দেবতারা থাকতেন। পারতপক্ষে এর কাছে কেউ যেতে চান না। যদিও ধর্মীয়ভাবে এটি পবিত্র স্থান।
এইন দারা গ্রামের নামেই বর্তমানে এই মন্দিরটি পরিচিতি পেয়েছে। পর্যটকদের কাছে রহস্যময় স্থান হিসেবে পরিচিত এইন দারা টেম্পল। মন্দিরটির ঐতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। লৌহযুগে নির্মিত প্রার্থণালয়টির বর্ণনা হিব্রু বাইবেল’এও রয়েছে। অনেকে একে সুলেমান’এর মন্দির নামেও চিনে থাকে।
পর্যটক আলী আবু আসাফ’এর বর্ণনাতেও খ্রিস্টপূর্ব ১৩শ’ শতকের এই মন্দিরের বর্ণনা রয়েছে। কথিত ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন আইএস সিরিয়ায় হানা দেয়ার পর গণমাধ্যমের কল্যাণে আবারও আলোচনায় আসে মন্দিরটি।

পালমিরা’র মতো ধ্বংসের কবলে পড়া এইন দারা’র স্থাপত্য নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়। আবারও উঠে আসে মন্দিরের মাটিতে ছাপ ফেলা বড় আকারের পদচিহ্ন’এর কথা।
মন্দিরের প্রবেশদ্বারেই রয়েছে একজোড়া বিশাল আকারের পদচিহ্ন। যা সাধারণ মানুষের তুলনায় ১০ গুণ বড়। স্থানীয় প্রবীণেরা বলে থাকেন, বহু আগে এই মন্দিরে দেবতাদের আনাগোনা ছিল। মানুষের সঙ্গে ছিল তাদের চলাফেরা। মানুষকে মানুষ করে তুলতে তাদের ছিল বড় ধরনের ভূমিকা। তবে এখনও যে প্রশ্নটি রয়েই গেছে তা হল, কোথা থেকে তারা এসেছিলেন? স্বর্গ থেকে?

যদিও আজকের বিজ্ঞান সেসব দাবি বিশ্বাস করে না। বিজ্ঞান বলে, এসব মানুষের কাজ। মানুষই অতীতে তুলনামূলক ভাবে আকারে বড় ছিল। তবে অত বড় নয়। যদিও ধর্মগ্রন্থে বিশাল আকারের আদ জাতির বর্ণনা রয়েছে।
বিশাল আকারের এই জাতি মানুষ হোক আর না হোক, তাদের অস্তিত্ব ছিল গোটা বিশ্বেই। ইউরোপ থেকে এশিয়া, এমনকি আফ্রিকাতেও এমন বিশাল আকারের মানুষ থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, আমেরিকা মহাদেশেও এমন বিশাল আকারের কঙ্কাল পাওয়ার দাবি উঠেছিল। কিন্তু রহস্যময় কারণে দ্রুত তা সরিয়ে ফেলা হয়। তবে গণমাধ্যমে দুর্ঘটনাবশত প্রকাশ করায় জানা যায় এর অস্তিত্বের কথা।

এলিয়েন বিশ্বাসীদের দাবি, সুদূর অতীতে দেবতারূপে আনুনাকি পৃথিবীতে এসেছিলেন। তারাই আকারে এমন বিশাল ছিলেন। তাদের কাছে ছিল উন্নত বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি। মানব কল্যাণে কাজ করায় মানুষ তাদের দেবতার চোখে দেখত। এলিয়েন বিশ্বাসীরা আরও বলে থাকেন, আনুনাকি আসলে সৌরজগতের রহস্যময় গ্রহ নিবিরু’র বাসিন্দা। মানব সভ্যতার উৎকর্ষতার পেছনে এরাই অবদান রাখেন। এসব পদচিহ্ন আসলে তাদেরই অস্তিত্বের প্রমাণ।

https://youtu.be/FcJ3Oy5BAcM
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/৭:০৫পিএম/১৩/২/২০১৭ইং)