• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৩ অপরাহ্ন

রেড ক্রিসেন্টের সদরদপ্তরে ইসরায়েলের হামলা


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩, ৩:৩৪ PM / ৮৯
রেড ক্রিসেন্টের সদরদপ্তরে ইসরায়েলের হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার পশ্চিমাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে দ্য প্যালেস্টিনিয়ান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদরদপ্তরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ওই এলাকা ফিলিস্তিনিদের জন্য নিরাপদ মনে করা হলেও ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্য থেকে বাদ পড়েনি। খবর আল জাজিরার।

রেড ক্রিসেন্টের মূল ভবনের উপরের ফ্লোরে হামলা চালানো হয়। এতে পুরো ভবন এবং এর আশেপাশে স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাজার হাজার বাস্তূচ্যুত ফিলিস্তিনি ওই ভবনকে নিরাপদ ভেবে সেখানে আশ্রয় নিয়েছিল। এছাড়া সংঘাত শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে পালিয়ে আসা লোকজনও ওই ভবনে অবস্থান করছিলেন।

সম্প্রতি সেখানে আশ্রয় নেওয়া অধিকাংশ বাস্তূচ্যুত ফিলিস্তিনিই খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চল থেকে এসেছে। এদিকে প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, সংস্থাটির উপরের ফ্লোরে ইসরায়েলি বাহিনীর কামানের গোলার আঘাতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ২৫০ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন পাঁচ শতাধিক ফিলিস্তিনি। এ হামলায় আল-মাগাজি নামক শরণার্থীশিবিরেই নিহত হয়েছেন শতাধিক ফিলিস্তিনি।

আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় হামলা আরও জোরদার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ ঘণ্টায় গাজাজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় তারা। এতে ২৫০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারায়। এ হামলায় আল-মাগাজি শরণার্থীশিবিরের সাতটি পরিবারের সবাই মারা গেছে বলেও জানায় সংবাদমাধ্যমটি।

গাজায় সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি বাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, গাজার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে স্থল অভিযান আরও বাড়িয়েছে তারা। তবে এই অভিযানকে দীর্ঘায়িত ও কঠিন বলে স্বীকার করেছে তারা।

গত ৭ অক্টোবর সীমান্তবেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। হামাসকে নির্মূলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।