ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : প্রতিদিন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে দলের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে মুখরিত থাকলেও ৫ জানুয়ারি শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত এর চিত্র একেবারেই বিপরীত ছিল।
২০১৪ সাল থেকে এ দিনটিকে বিএনপি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে। পক্ষান্তরে ক্ষমতাসীন সরকার পালন করে যাচ্ছে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ হিসেবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য (পুলিশ) মোতায়েন করা হয়েছে। কার্যালয়ের পাশে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে এপিসি, জলকামান, প্রিজনভ্যান।
সকাল ১১টা পর্যন্ত দলীয় কার্যালয়ে অফিস কর্মচারী ছাড়াও উপস্থিত রয়েছেন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্ঠা পরিষদের সদস্য আবুল খায়ের ভুইয়া, আব্দুস সালাম, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব প্রমুখ।
এদিকে, ৫ জানুয়ারি উপলক্ষে বিএনপি ঢাকায় প্রথমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরবর্তীতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) অনুমতি না দিয়ে জানিয়ে দেয় ঢাকায় সমাবেশ করতে হলে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত বিএনপিকে অপেক্ষা করতে হবে।
আর কার্যলয়ের সামনে জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে সমাবেশের জন্য অনুমতি দেয়া যাচ্ছে না। যদিও ৫ জানুয়ারি উপলক্ষে সারা দেশে বিএনপির কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি পালনের নির্দেশনা রয়েছে।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করবেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১২:০০পিএম/৫/১/২০১৮ইং)
আপনার মতামত লিখুন :