• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২১ পূর্বাহ্ন

পাগলা বাজার নির্বাচন : সমিতির কল্যাণে কাজ করতে চান সব প্রার্থীরা(ভিডিও)


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ৩, ২০১৯, ১২:২৩ PM / ১৩৮
পাগলা বাজার নির্বাচন : সমিতির কল্যাণে কাজ করতে চান সব প্রার্থীরা(ভিডিও)

সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি : আগামী ২৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা সমবায় সমিতির আওতাভুক্ত পাগলা বাজার ব্যবসায়ী বহুমূখি সমবায় সমিতি (১৩০/৫৪)’র নির্বাচন। ইতিমধ্যেই জমে উঠেছে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনা। প্রতি ৩ বছর অঃন্তর অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনকে ঘিরে ব্যবসায়ীদের আশা আকাঙ্খা থাকে অনেক বেশি। কেননা নির্বাচিত হয়ে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিরা আগের তুলনায় সংগঠনের সদস্যদের কল্যাণে কতটুকু কাজ করবেন তা দেখার অপেক্ষায় থাকেন অনেকেই। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হবার প্রশ্নে কিছু প্রার্থীরই নির্বাচন কমিশনের প্রতি রয়েছে পূর্ণ আস্থা, আবার কারো কারো রয়েছে অজানা আশঙ্কা। ফলে শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত প্রশানসিক সহযোগিতা কামনা করছেন তারা। সম্প্রতি সরেজমিন ঘুরে নির্বাচনী আমেজ লক্ষ্য করা গেছে প্রার্থী ও ভোটারদের মাঝে। কেউ কেউ ইতিমধ্যেই তাদের পছন্দের প্রতিকও পেয়েছেন।

এসব প্রার্থীদের কেউ পূণরায় একই পদে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন, আবার কেউ আগের পদ রেখে এবার নিজের পছন্দের পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন। তবে তারা প্রত্যেকেই সংগঠনের কল্যাণে কাজ করার কথা জানিয়েছেন।

সভাপতি পদপ্রার্থী শেখ সাবের আহমেদ যিনি বিগত সময়ে ২বার সাধারন সম্পাদক হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতা ও বিচক্ষণতার সাথে সমিতির কল্যাণে অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। মাঝে সাধারন সদস্য হিসেবে থাকলেও বর্তমানে সমিতির কল্যাণে পূণরায় সভাপতি পদে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন তিনি।

বিগত সময়ের সফলতা ও নির্বাচিত হলে আগামী পরিকল্পনা সম্পর্কে শেখ সাবের আহমেদ জানান, ‘আমি যখন বিগত সময়ে সমিতির দায়িত্ব গ্রহণ করি তখন সদস্য ছিল মাত্র ৫৪০ জন, যা আমি ১৮০০ সদস্যে উন্নীত করতে সক্ষম হই। তখন ফান্ডে কোনো টাকা ছিলনা অথচ আমি সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব নেয়ার পর সমিতির বিশাল অংকের ফান্ড থেকে শুরু করে সমিতির নামে ৪ শতাংশ ও নদীর ওপাড়ে ১৮ শতাংশ জমি ক্রয় করি। কিন্তু আমার সময় শেষ হবার পর গত ৯ বছরের একনায়কতন্ত্রের কারণে এ সমস্ত কিছুই আর সমিতির সদস্যদের কোনো কাজে লাগাতে পারেনি তারা। তবে এবার আমি সভাপতি নির্বাচিত হলে আমার করা ওই ২২ শতাংশ জায়গাতে বহুতল ভবন ও মার্কেট করব। যার আয় সমিতির প্রতিটি সদস্য পাবে। এছাড়া সন্ত্রাস-মাদক-চাঁদাবাজ সহ নানা সমস্যার সমাধানে কাজ করব।

তবে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের স্বার্থে তিনি প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন- ইতিমধ্যেই আমাকে পেশিশক্তি ও হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন দিক থেকে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। তাই প্রশাসনের সহযোগিতা নির্বাচন পর্যন্ত অব্যাহত থাকলে নির্বাচনে আমার জয় নিশ্চিত।

এদিকে যুগ্ন সম্পাদক প্রার্থী মাহাবুব আলম সিকদার। যিনি পূর্বে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাচনী অঙ্গীকারে এই প্রার্থীও একইভাবে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজীর বিরুদ্ধে কাজ করার কথা জানান। এছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংসদ সদস্যের সহযোগিতা নিয়ে পাগলা বাজারের রাস্তার যানজট নিরসন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন সহ নানাবিধ উন্নয়নমূলক কাজ করার অঙ্গীকার করেন তিনি।

ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিগত দিনেও আমি আপনাদের সাথে ছিলাম, এবার আবারো আপনাদের সেবা করার জন্য আপনাদের দোয়া ও সমর্থন কামনা করছি। আপনাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আপনাদের সেবা করা এবং বাজারের সকল উন্নয়ন মূলক কাজ করার সুযোগ চাই।

অপরদিকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রার্থী আব্দুল বারেক আকন্দেরও রয়েছে বিগত দিনে নেতৃত্ব দেয়ার অভিজ্ঞতা। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অন্যান্য প্রার্থীদের মতোই তিনিও সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ নির্মূল, সমিতির শক্তিশালী ফান্ড গঠন ও নানাবিধ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে সমিতির উন্নয়নে কাজ করত চান। এই জন্য তিনি ভোটারদের ভোট প্রার্থণা করেন।

উল্লেখ্য, জেলা সমবায় সমিতির আওতাভুক্ত পাগলা বাজার ব্যবসায়ী বহুমূখি সমবায় সমিতি (১৩০/৫৪)’র বর্তমান সদস্য সংখ্যা ২ হাজার ৭০ জন। এদের মধ্যে ভোটার সংখ্যা ১৪৩৯ জন। তবে ভোটার কিংবা সাধারন ব্যবসায়ী প্রত্যেকেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছেন সামনে কি ধরনের নেতৃত্ব আসবে তাদের কল্যাণে।

ভিডিও সংবাদটি দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন- 

https://www.youtube.com/watch?v=R8EuWtC5nz4&feature=youtu.be
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১২:২৫পিএম/৩/৭/২০১৯ইং)