• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০০ অপরাহ্ন

দিনে মাইকিং রাতেই আম-পটলের গাছ কাটলো দুর্বত্ত্বরা


প্রকাশের সময় : মে ৭, ২০১৮, ৪:০৩ PM / ৫৩
দিনে মাইকিং রাতেই আম-পটলের গাছ কাটলো দুর্বত্ত্বরা

 

মোঃ ফজলে রাব্বি, বাগাতিপাড়া, নাটোর : নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ফসলের মাঠে অত্যাচার বন্ধে চার গ্রামের কৃষকদের প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ফসল রক্ষায় ওই কমিটি এলাকায় রোববার দিনের বেলা সচেতনতামুলক মাইকিং করার পর ওইদিন রাতেই কমিটির সাধারন সম্পাদকের দেড় বিঘা জমির পটলের গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বত্ত্বরা। একই রাতে একই মাঠে আরও তিন কৃষকের আমের চারা গাছও কেটে বিনষ্ট করা হয়। উপজেলার তকিনগর মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এর আগেও একাধিকবার ওই মাঠে গাছ কেটে ফেলার ঘটনা ঘটলেও জড়িতদের কাউকেই চিহ্নিত করা যায়নি। তবে পুলিশ বলছেন এ ব্যাপারে কৃষকরা কোন লিখিত অভিযোগ করেননা।
ক্ষতিগ্রস্থ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, তকিনগর মাঠে গরু, মহিষ, ছাগল চরিয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করা হয়। এছাড়াও গাছের আম-লিচুসহ অন্যান্য আবাদও বিনষ্ট করা হয়। এসব অত্যাচার বন্ধে চকগোয়াশ, চকতকিনগর, বেগুনিয়া ও দিয়াড় গ্রামের কৃষকরা গত ৩০ এপ্রিল একটি প্রতিরোধ কমিটি গঠন করে। বেগুনিয়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দীকীকে সভাপতি ও চকতকিনগর গ্রামের তনু মোল্লাকে সাধারন সম্পাদক করে ১০৫ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়। গত শনিবার বিকালে সাদিমারি বটতলা বাজারে ওই কমিটির এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোববার সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাইকিং করা হয়। এতে গরু, মহিষ, ছাগল চরিয়ে গাছপালা বা ফসলের ক্ষতি সাধন না করার অনুরোধ করা হয়। এছাড়াও সন্ধ্যার পর কোন আমবাগানে বহিরাগতদের প্রবেশ না করারও অনুরোধ জানানো হয়। প্রতিরোধ কমিটির ওই মাইকিংয়ের পর ওই রাতেই কমিটির সাধারন সম্পাদক তনু মোল্লার দেড় বিঘা জমির পটলের গাছ ও চারটি আমের চারা গাছ, কৃষক আলিম ও আফছারের আমের চারা গাছ কেটে বিনষ্ট করে দুর্বৃত্ত্বরা। এছাড়াও শহিদুলের বাগানের প্রায় দুই মণ আম পেড়ে নষ্ট করে দুর্বৃত্ত্বরা। এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় কৃষি বিভাগ ক্ষতিগ্রস্থ মাঠ পরিদর্শন করেছেন।
কমিটির সাধারন সম্পাদক ক্ষতিগ্রস্থ তনু মোল্লা জানান, তার দেড় বিঘা জমির পটলের গাছের গোড়া কেটে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করেছে দুর্বৃত্ত্বরা। এর আগেও দু দফায় তার নতুন বাগানের ৫৮২টি চারা আম গাছ কেটে ফেলে দুর্বৃত্ত্বরা। কয়েক বছর থেকেই এ মাঠে অনেকের বাগানের আম গাছ কেটে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এ ঘটনার সাথে জড়িত কাউকেই ধরা যায়নি।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুমাইয়া শারমিন বলেন, জানতে পেরে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি তিনি উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
এব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তিনি কোন অভিযোগ পাননি। পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে এর আগেও বারবার এমন ঘটনায় পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের কোন লিখিত অভিযোগ ইতিপুর্বেও পাওয়া যায়নি।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/৪:০২পিএম/৭/৫/২০১৮ইং)