• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৮ অপরাহ্ন

গোপালগঞ্জে মধুমতি নদীতে চলছে জাটকা নিধনের মহোৎসব


প্রকাশের সময় : মে ৮, ২০১৮, ৮:১৯ PM / ২৮
গোপালগঞ্জে মধুমতি নদীতে চলছে জাটকা নিধনের মহোৎসব

এম শিমুল খান, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার মধুমতি নদীর ভাটিয়াপাড়া থেকে শুরু চরজাজিরা ও কুমারতিয়া পর্যন্ত  চলছে জাটকা ইলিশ ধরার মহোৎসব। মূলত জাটকাকে পরিণত ইলিশে পরিণত করার লক্ষে মৎস্য অধিদপ্তর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তৎসঙ্গে আদেশ অমান্যকারীকে এক থেকে দুই বছর কারাদন্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দন্ডে দন্ড দেওয়ার বিধান করেছে।

ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। বর্তমানে ইলিশ মাছ দেশের মানুষের চাহিদা সম্পন্ন করে বিদেশেও রপ্তানী করা হচ্ছে যার মাধ্যমে আমাদের দেশ অর্জন করছে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। আমরা সকলে অবগত আছি বিগত ২০১৬ সাল ছিল ইলিশের সোনালী বছর। সঠিক ভাবে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ এবং মা ইলিশ ধরা বন্ধের সময়গুলো মেনে চলায় ২০১৬ সালে সবচেয়ে বেশি ইলিশ ধরা পড়েছে। কিন্ত এর বিরুপ প্রভাব পড়ছে ২০১৮ সালের জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহে। আইন অমান্য করে আইন শৃংখলা বাহিনীর নাকের ডগায় জাটকা নিধন চলছে। আইন শৃংখলা বাহিনীর তৎপরতার মাঝেও ব্যাহত হচ্ছে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০১৮।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় জেলেদের মাঝে কোন সচেতনতা নেই। তারা অবাধে জাটকা ধরছে আর বিক্রয় করছে কাশিয়ানী উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হচ্ছে কালনা ঘাট ও ভাটিয়াপাড়া বাজার। নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক মধুমতি নদীর পাড়ে বসবাসকারী কয়েক জন জানান, প্রত্যেক দিন প্রায় ৩-৪ মন জাটকা ধরা পরে আর সে গুলো স্থানীয় বাজারে এনে দরকষাকষির মাধ্যমে বিক্রয় করা হয়। তাঁরা আরো বলেন এ ব্যাপারে স্থানীয় কোন ব্যক্তি বা প্রশাসনের কোন কর্মকর্তা এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোন প্রকার ব্যাবস্থা গ্রহণ করেন নাই।
এ ব্যাপারে কাশিয়ানী উপজেলা মৎস্য অফিসার জনাব লুৎফর রহমানের মুঠো ফোনে বলেন, আমি এ পর্যন্ত  কয়েক বার পুলিশ বাহিনী নিয়ে নৌকাযোগে অভিযান চালিয়েছি। কিন্তু সরকারি স্বল্প বাজেটের কারনে প্রত্যেক দিন অভিযান চালানো সম্ভব নয়। তবে আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি জাটকা ইলিশ সংরক্ষনে।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/৮:১৮পিএম/৮/৫/২০১৮ইং)