• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন

কুড়িগ্রামে ভারি বৃষ্টিপাত, দুশ্চিন্তায় আমন চাষীরা


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ২৪, ২০২৩, ৭:৫৬ PM / ১৩৩
কুড়িগ্রামে ভারি বৃষ্টিপাত, দুশ্চিন্তায় আমন চাষীরা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামে গত ২৪ ঘন্টায় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাতের ফলে বারছে নদ নদীর পানি। আতংকে নদী পাড়ের মানুষ ও আমন চাষীরা।

গতকাল সন্ধ্যা থেকে ভারি বর্ষণের ফলে জেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।
বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন জেলার খেটে খাওয়া ও দিনমজুরর শ্রেণীর মানুষজন।

আজ বুধবার (২৪ আগস্ট) সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ তুহিন মিয়া।
এদিকে বৃষ্টিপাতের কারণে নিচু এলাকার আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে নদ নদীর পানিও। পানি বৃদ্ধি পেলেও এখনো সবগুলো নদ নদীর পানি বিপদসীমার নিজ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা আতংকে নদী পাড়ের মানুষ। দুঃশ্চিতার আছেন আমন চাষীরাও।

সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের সিতাইঝাড় এলাকার সাহেদ আলী বলেন, কিছুদিন আগে বৃষ্টির পানিতে আমার আমন ক্ষেত তলিয়ে ক্ষতি হয়েছিল। পরে পানি শুকিয়ে যাবার পর আবারও নতুন করে জমিতে ধান রোপণ করেছি। এবার যদি আবার বন্যা এসে ধান নষ্ট হয়ে যায়। তাহলে আমার কি হবে। আমার আর ক্ষমতা নাই যে আবারও নতুন করে ধান রোপণ করবো।

ওই এলাকার আরেক কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ২ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করছি। গতকাল থেকে যে আকাশের অবস্থা কি যে হবে। বৃষ্টি রাত থেকে সমানে চলছে। এরকম বৃষ্টি থাকলে তো বন্যা হয়ে যাবে। এবার ধান নষ্ট হয়ে গেলে বড় ক্ষতির মুখে পরবো।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া বলেন, আগামী ৭২ ঘন্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আগামী ২৬-২৭ তারিখ পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।
এর ফলে উলিপুর, চিলমারী ও সদরের কিছু অংশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। এখনো সবগুলো নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিপদসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা অনেক কম।