• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১০ অপরাহ্ন

কুড়িগ্রামে উন্নত পদ্ধতিতে সবজি চাষে পাল্টে যাচ্ছে চরের মানুষের জীবন-জীবিকা


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ২, ২০২৩, ১২:২৯ AM / ৩১২
কুড়িগ্রামে উন্নত পদ্ধতিতে সবজি চাষে পাল্টে যাচ্ছে চরের মানুষের জীবন-জীবিকা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামে উন্নত পদ্ধতিতে সবজি চাষের মাধ্যমে পাল্টে যাচ্ছে নদ-নদী তীরবর্তী চরের মানুষের জীবন-জীবিকা। বন্যাকালীন সময়েও যাতে সবজি উৎপাদন অব্যাহত থাকে সেজন্য কমিউনিটি ভিত্তিক সবজি ও বস্তায় আদা চাষে উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগসহ একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা।

বন্যা ও নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে প্রতিবছর অসংখ্য পরিবার গৃহহীন হয় কুড়িগ্রাম জেলায়। বিনষ্ট হয় চরের মানুষের কৃষি ফসল। ফলে কৃষিনির্ভর পরিবারগুলো পড়ে যায় চরম সংকটে। এমন পরিস্থিতিতে বন্যা ও নদী ভাঙ্গনের শিকার ৭২০টি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে কৃষি বিভাগ ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ, বাংলাদেশ।

বন্যাকালীন সময়েও যাতে তাদের সবজি উৎপাদন অব্যাহত থাকে সেজন্য কমিউনিটি ভিত্তিক সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। ভিটা উঁচু করে বেড পদ্ধতিতে সবজি চাষের পাশাপাশি বস্তায় আদা চাষে উৎসাহ প্রদান করায় চরের প্রত্যেক বাড়িতে বস্তায় আদা ও পেঁপে চাষ হচ্ছে। সবজি উৎপাদনে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে ভার্মি কম্পোষ্ট উৎপাদন ও ব্যবহার করছে তারা। কুড়িগ্রাম সদর, চিলমারী এবং রৌমারী উপজেলার মোট ২৪টি চরে ৭২০ জন সদস্যকে সমন্বিত কৃষি চর্চায় উক্ত প্রকল্পের মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান, ফ্রেন্ডশিপ বাংলাদেশ (এএসডি) প্রজেক্ট এর সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার কৃষিবিদ মোঃ আশরাফুল ইসলাম মল্লিক। চরাঞ্চলের মানুষের সমন্বিত কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষণসহ সবধরনের সহযোগিতা দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কুড়িগ্রাম এর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ বিপ্লব কুমার মোহন্ত।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এ ধরনের প্রকল্পের মাধ্যমে জেলার প্রতিটি চরেই সহায়তা দেয়া গেলে বদলে যাবে চরাঞ্চলের কৃষি চিত্র।