• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২০ অপরাহ্ন

উচ্চশিক্ষা যেনো বাণিজ্যিক পণ্যে পরিণত না হয় : রাষ্ট্রপতি


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮, ১০:১৬ AM / ৫৫
উচ্চশিক্ষা যেনো বাণিজ্যিক পণ্যে পরিণত না হয় : রাষ্ট্রপতি

ঢাকারনিউজ২৪.কম, রাবি : ‘প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকা এবং এগিয়ে চলার বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। পাশাপাশি উচ্চশিক্ষার মান নিয়ে কেউ যাতে প্রশ্ন তুলতে না পারে তাও নিশ্চিত করতে হবে।’

শনিবার(২৯ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়াম মাঠে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আব্দুল হামিদ।

তিনি আরো বলেন, উচ্চশিক্ষা যাতে সার্টিফিকেট সর্বস্ব না হয় কিংবা শিক্ষা যাতে বাণিজ্যিক পণ্যে পরিণত না হয়, তা দেশ ও জাতির সার্থে সম্মিলিতভাবে নিশ্চিত করতে হবে। এটা করতে না পারলে দেশে উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়বে এবং বিশ্ব প্রতিযোগিতায় আমরা পিছিয়ে পড়ব।

সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করা গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সবসময় নৈতিক মূল্যবোধ ও বিবেক ও দেশপ্রেম জাগ্রত রাখবে। কখনও অন্যায় ও অসত্যের কাছে মাথানত করবে না। মনে রাখতে হবে সমাবর্তন শিক্ষার সমাপ্তি ঘোষণা করছে না বরং উচ্চতর জ্ঞানভাণ্ডারে প্রবেশের দ্বার উন্মোচন হয়েছে। তোমরা সেই জ্ঞান রাজ্যে অবগাহন করে বিশ্বকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

সমাবর্তন বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ইমেরিটাস আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন বলেন, শিক্ষা জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রধান অবলম্বন। এদেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর বড় অংশই তরুণ। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে হলে এ বিশাল তরুণ সমাজকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে। আর এ জন্য শিক্ষার সকল স্তরে গুণগত মান নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রোভিসি চৌধুরী জাকারিয়া, শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান আল-আরিফ। এর আগে বেলা ৩টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়াম মাঠে শোভাযাত্রাসহ প্রবেশ করেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আব্দুল হামিদ। এরপর জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন এবং পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলো থেকে পাঠ করা হয়।

এ সময় বিশেষ অতিথি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জ্ঞানচর্চা, গবেষণা ও নতুন জ্ঞান অনুসন্ধান ও সৃষ্টি করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সৃষ্ট জ্ঞান আমাদের মৌলিক ও বিশেষ সমস্যাগুলোর সমাধান দিতে পারে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সে ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

পরে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আগে ছাত্রীদের জন্য দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল ও ছাত্রদের জন্য শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হল নামে দুইটি দশ তলা বিশিষ্ট আবাসিক হলের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন রাবির ভিসি প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান, প্রোভিসি প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা ও প্রফেসর মো: চৌধুরী জাকারিয়া, কোষাধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান আল-আরিফ প্রমুখ।

এছাড়াও সমাবর্তনে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সাবেক প্রফেসর হাসান আজিজুল হক এবং বাংলা একাডেমির সাবেক পরিচালক সেলিনা হোসেনকে সম্মানসূচক ডিলিট ও অভিজ্ঞানপত্র প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১০:১৫এএম/৩০/৯/২০১৮ইং)