• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন

ইরি-বোরোর বাম্পার ফলনের আশা পলাশবাড়ীর কৃষকদের


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ২৪, ২০১৭, ৯:৫৫ PM / ৩৬
ইরি-বোরোর বাম্পার ফলনের আশা পলাশবাড়ীর কৃষকদের

 

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা : গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার যেদিকে তাকানো যায়- শুধু ইরি-বোরো ধানের দিগন্ত বিস্মৃত সবুজ শ্যামলিমা। গত আমন ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় ও বাজার দর বেশ ভাল থাকায় এবারও কৃষকরা রাত-দিন সমান পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বাম্পার ফলন ফলিয়ে ভাল দামের আশায়। পাশাপাশি চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ ভাল থাকায় এবং সার, ডিজেল, পানি ও কীটনাশকসহ প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ সহজেই সরবরাহ পাওয়ায় কৃষকরা বাম্পার ফলনের আশা করছেন।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৯ হাজার ৫০ হেক্টর। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চাষ হয়েছে ২১ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে। এই পরিমাণ জমিতে সেচ সুবিধা দেয়ার জন্য মোট ২ হাজার ২টি গভীর, অগভীর ও পাওয়ার পাম্প কাজ করছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎচালিত গভীর নলকূপের সংখ্যা ২৬৭টি এবং ডিজেল চালিত ১১০টি। অগভীর নলকূপের সংখ্যা ২১৭৬টি। এর মধ্যে বিদ্যুৎচালিত ৪০৫টি এবং ডিজেল চালিত ১৭৭১টি। পাওয়ার পাম্প ৪৪৯টি। এর মধ্যে বিদ্যুৎচালিত ৭৯টি এবং ডিজেল চালিত ৩৭০টি।
গত আমন মৌসুমে বাম্পার ফলন এবং ধান-চালের ভাল দাম পাওয়ায় গফরগাঁওয়ের কৃষকরা এবারও নতুন আশা নিয়ে ইরি-বুরো ধান রোপন করেছেন। বর্তমানে কৃষকের এই প্রত্যাশার সবচেয়ে বড় বাধা বিদ্যুতের লাগামহীন লোডশেডিং থেকে রক্ষা পেয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় এবার ভাল বিদ্যুৎ সরবরাহ ভাল থাকায় ও লো-ভোল্টেজ না থাকার কারণে কৃষকরা রাত-দিন সেচযন্ত্র চালাতে পারছেন।
অন্যদিকে সার, ডিজেল, পানি ও কীটনাশকসহ প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ সহজেই সরবরাহ পাওয়ায় কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা বাম্পার ফলনের আশা করছেন।
উপজেলার বেতকাপা গ্রামের কৃষক আনিছ উদ্দিন এবং বিচ্রামগছি গ্রামের আবুল কাশেম বলেন, প্রতিদিন গড়ে ১৯ থেকে ২২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে জমিতে সেচ দিতে কোন অসুবিধা হচ্ছে না। পাশাপাশি উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারাও নিয়মিত খোঁজ নিয়ে আমাদের বিভিন্ন রকম পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলার অনেক কৃষক জানান, টানা কয়েক বছর ধান আবাদ করে লোকশানের মুখে পড়ায় ধান চাষ বাদ দিয়ে অন্য ফসল করা চিন্তা করি। এরই মধ্যে আমন মৌসুমে বাম্পার ফলন ও ধানের বেশ ভাল বাজার দর থাকায় এবং স্থানীয় কৃষি বিভাগের অনুপ্রেরণায় এবার আমরা অধিকাংশ জমিতে ধানের আবাদ করেছি। ধান গাছের তেজদীপ্ত অবস্থা দেখে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম জানান, কৃষকদের মাঝে সার, বীজসহ প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ শতভাগ নিশ্চিত করা হয়েছে। এখনো সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ অত্যন্ত ভাল। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে উপজেলায় বাম্পার ফলন হবে।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/৯:৪৫পিএম/২৪/২/২০১৭ইং)