• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন

শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ, র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে প্রোটিয়ারা


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১১, ২০১৭, ৯:৫১ AM / ৪০
শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ, র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে প্রোটিয়ারা

 

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : লজ্জা এড়াতে পারলো না শ্রীলঙ্কা। পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে গেল দলটি। শুক্রবার রাতে লঙ্কানদের ৮৮ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। এর মধ্য দিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৫-০ ব্যবধানের হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ফেলে ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠে এলো প্রোটিয়ারা।
সেঞ্চুরিয়নের সুপার স্পোর্ট পার্কে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৮৬ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেটির পেছনে ছুটতে গিয়ে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯৬ রানেই আটকে যায় লঙ্কানরা। ফলে ৮৮ রানের বড় জয় পায় স্বাগতিকরা। ওয়ানডেতে ঘরের মাঠে এটি দক্ষিণ আফ্রিকার টানা ১৪তম জয়।
ওয়ানডেতে এই নিয়ে টানা ১১ ম্যাচ জেতার ফলে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠে আসে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকেও ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছিল প্রোটিয়ারা। সর্বোচ্চ ১১৯ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে আপাতত দক্ষিণ আফ্রিকা শীর্ষে এবং এক পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে নেমে গেল অস্ট্রেলিয়া।
হোয়াইটওয়াশ হওয়ার ম্যাচে শ্রীলঙ্কার প্রাপ্তি বলতে সিরিজে প্রথমবারের মতো পুরেো ৫০ ওভার ব্যাটিং করা এবং আসিথা গুনারত্নের সেঞ্চুরি করা। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করা গুনারত্নে ১১৭ বলে ১৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১১৪ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। এছাড়া সফরকারীদের হয়ে সাচিথ পাথিরানা ৫৬ ও নিরোশান দিকভেলা করেন ৩৯ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার সফলতম বোলার ক্রিস মরিস। ১০ ওভারের স্পেলে ৩১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া ওয়েন পারনেল দুটি এবং ইমরান তাহির নেন একটি উইকেট।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকাকে রানের পাহাড় এনে দেন দুই সেঞ্চুরিয়ান হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি কক। এই দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ের সুবাদে ভারতকে (২৩) টপকে সর্বাধিকবার ৩৫০ রানের দলীয় ইনিংসের রেকর্ড গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা (২৪)।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে আমলা ১৩৫ বলে ১৫টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ১৫৪ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন। ডিড কক ৮৭ বলে ১৬টি চারের সাহায্যে খেলেন ১০৯ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস। সেঞ্চুরিয়নে ১২ ম্যাচে এটি আমলার পঞ্চম সেঞ্চুরি; এই মাঠে টানা চার ম্যাচেই সেঞ্চুরি পেলেন তিনি এবং ষষ্ঠ ম্যাচে ডি ককের চতুর্থ সেঞ্চুরি। এছাড়া স্বাগতিকদের হয়ে ফাফ ডু প্লেসিস ৪১ ও ফারহান বিহারদিয়েন করেন ৩২ রান।
শ্রীলঙ্কার হয়ে সুরঙ্গা লাকমল সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন। এছাড়া লাহিরু মধুশঙ্কা দুটি এবং জেফ্রে ভান্দারসে নেন একটি উইকেট।
১৫৪ রানের অনবদ্য ইনিংসের সুবাদে ম্যাচ-সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার লাভ করেন আমলা। অন্যদিকে গোটা সিরিজে দুর্দান্ত ব্যাটিং পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে অবিশ্বাস্য ১০২.৫০ গড়ে দুটি সেঞ্চুরি ও একটি হাফসেঞ্চুরিতে ৪১০ রান করায় ডু প্লেসিস সিরিজের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/৯:৫০এএম/১১/২/২০১৭ইং)