• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৭ অপরাহ্ন

রাজনীতিতে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছে বিএনপি : হাছান মাহমুদ


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১০, ২০১৯, ৮:৪৯ AM / ৩২
রাজনীতিতে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছে বিএনপি : হাছান মাহমুদ

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : বিএনপি দেশের রাজনীতিতে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, রাজনীতিতে ভীতি ও অগ্নিসন্ত্রাস সংযোজন করেছে বিএনপি। এটা আমাদের রাজনীতিতে ছিলো না। এমনকি উপমহাদেশের রাজনীতিতে ছিলো না।

মঙ্গলবার ধানমন্ডির আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে ভয়ের রাজত্ব কারা কায়েম করতে চেয়েছে এটা দেশের মানুষ ভালো করে জানে। ২০১৩, সালে ১৪ সালে ১৫ সালে বিএনপি মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা মেরেছে। হাজার হাজার মানুষকে আগুনে ঝলসে দিয়েছে। ৫শ’র বেশি মানুষকে তারা আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। নিরীহ মানুষের ওপর, অন্তঃস্বত্ত্বা নারীর ওপর, স্কুল ফেরত বালকের ওপর, এজতেমা ফেরত মুসল্লির ওপর ঘুমন্ত ট্রাকচালকে ওপর পেট্রোল বোমা মেরে হত্যা করেছে। যেন মধ্যযুগীয় বর্বরতা। রাজনীতিতে ও দেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছে বিএনপি। কথাটি তাদের বেলায় প্রযোজ্য।

তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনতে চিঠি দেয়া প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমাদের বন্দি বিনিময় না থাকায় তারেক রহমানকে ফেতর পাঠাতে চিঠি দেয়া হয়েছে। এখানে প্রতিহিংসার কোনো বিষয় নেই। আইন আদালতকে সম্মান রক্ষার্থেই তাকে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। আরেকটি বিষয় হচ্ছে তিনি যদি মনে করেন তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার সম্মুখীন হচ্ছেন, তাহলেতো তার এখানে চলা আসা প্রয়োজন। তার সৎ সাহস থাকলে আদাতলে এসে আত্মসমর্পণ করা উচিত। কিন্তু তার সেই সাহস নেই। তার যে দুর্নীতি সেটি বাংলাদেশ সরকার উদঘাটন করেনি। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই উদঘাটন করেছে।

তিনি বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেট হামলা, যে মামলায় তিনি সাজাপ্রাপ্ত, শাস্তিপ্রাপ্ত। এটা দিবালোকের ন্যায় সত্য। সাক্ষ্য প্রমাণের মাধ্যমে এটা প্রমাণিত হয়েছে। তিনি ফৌজদারি মামলা দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। বিএনপির উচিত ছিল তাকে নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়া। তারা সেটি করেনি। বরং একজন দুর্নীতিবাজ ও হত্যা মামলার আসামি দণ্ডপ্রাপ্তকে সব ধরনের রাজনৈতিক সুরক্ষা দেয়ার চেষ্টা করছে। এটা বিএনপি রাজনৈতিক দৈন্যতারই বহিঃপ্রকাশ।

এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কাগজে আমি দেখেছি বিএনপি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষেত্রে যৌথভাবে ৫ জন নেতাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অনেক সিনিয়র নেতার নাম নেই। এটার মাধ্যমে প্রমাণিত হয় বিএনপির নেতৃত্বে মধ্যে অনেক সন্দেহ, অবিশ্বাস বিরাজ করছে। সেটারই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে মহাসচিবের কৃতিত্ব খর্ব করা। এবং মহাসচিবের সঙ্গে আরো কয়েক জনকে জুড়ে দেয়া হয়েছে। আমি কাগজে আরো দেখলাম ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে মহাসচিব একা যেতে পারবে না। একে অপরের প্রতি প্রচণ্ড অবিশ্বাস থেকেই এ সিদ্ধান্ত।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/৮:৫২এএম/১০/৪/২০১৯ইং)