মহুয়া বাবর
_____________________________________
বর্ষা তুমি এক পাল্টে যাওয়া প্রহর
এক পশলা বৃষ্টিতে বিবর্ণ এই শহর
রাস্তা-ঘাটে একহাঁটু জল
জন-জীবন বড়ই অচল
দিনের বেলা রাতের আঁধার
কি জানি হয় ঘড়ির কাঁটার!
বৃষ্টি এলে গাছের ঢাল ভেঙে যায়
আবার বৃষ্টি পেয়ে জাগে কিশলয়
রিমঝিমিয়ে ঝরো যখন
বিষন্ন মন পায়যে ফাগুন
একবার মন কবি হতে চায়
বৃষ্টি তোমার একটু ছোঁয়ায়!
অতি বৃষ্টিতে পাহাড় যখন ধ্বংসে পড়ে
শিশু বৃদ্ধ নারী পুরুষ লাশের স্তুপে গড়ে
মানবতা চেয়ে হাঁসে!
ঘরছাড়া আর আশ্রয়হীনের তখন দুর্গতি আরো বাড়ে!
বৃষ্টিতে ভিজে ছোট্ট শিশুরা আনন্দে আটখানা
বয়ঃবৃদ্ধদের বাড়তি ঝামেলা নিত্য সঙ্গী ছাতা
কৃষক বেচারা দিক্বিদিক হারা
অতি বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট আহা!
শব্দহীন কোনো নারী এই সময় পলকহীন চেয়ে আছে জানালায়
তোমার সাথে নিজেকে মিলিয়ে হয়েছিলো একাকার
আশা-নিরাশার নিয়তিকে মানিয়ে
নীরবে সে বৃষ্টির সাথে ধুয়ে মুছে
ধ্বংস স্তুপ থেকে হয়ত দাঁড়িয়ে উঠেছিলো আবার!
বৃষ্টি এলে আম কুড়ানোর আনন্দের দিন আজ নেই
কাঁদা মেখে ঘেমে কানামাছি খেলার মাঠটি গেলো কই!
বৃষ্টি কখনো ঝর্ণার গান হয়ে বাজে
গরম খিচুড়ি তখন কারো ডাইনিংএ
প্রিয় গানটি এই বরষায়
শুনতে বারবার মনে চায়!
বৃষ্টি তোমার তড়িৎ বেগে ছুটে আসা প্রলয়
মুহুর্তে যেনো সব পাল্টে তছনছ
প্রানের জগৎ প্রাণহীন শুনশান
তবু তোমার কাছেই আমাদের আছে প্রত্যয়
তোমার আগমনে মাটি পায় রস
বৃক্ষরা ছড়ায় ফসলের সুবাস
বৃষ্টি তুমি ভাঙা গড়ার কারিগর
এই যুদ্ধ এই আবার জয়!
আপনার মতামত লিখুন :