• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৪ অপরাহ্ন

পলাশবাড়ীর ৮০ বিঘা জমিতে ইরি বোরো রোপন অনিশ্চিত


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২০, ৫:২৪ PM / ৩৪
পলাশবাড়ীর ৮০ বিঘা জমিতে ইরি বোরো রোপন অনিশ্চিত

আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে কৃষি সেচ নলকূপের পাম্পের বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে দু’পক্ষের টানাটানিতে প্রায় ৮০ বিঘা জমিতে ইরি বোরো রোপন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
সরেজমিন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের মোস্তফাপুর গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে আহাদ আলী মন্ডল বিগত কয়েক বছর আগে গাইবান্ধা পল্লী সমিতি হতে বিদ্যুতের সংযোগ নিয়ে ইরি বোরো চাষাবাদ করছিল। পরবর্তীতে উক্ত বিদ্যুতের সংযোগটি একই গ্রামের মৃত রকিব উদ্দিন মন্ডলের ছেলে আবুল কালাম মন্ডল লালু’র নিকট চুক্তিতে প্রদান করেন। তারপর থেকে লালু নিজস্ব জমিতে বোরিং স্থাপন করে বিদ্যুতের সংযোগটির মাধ্যমে অত্রালাকার প্রায় ৮০ বিঘা জমিতে কৃষি সেচ দিয়ে ইরি বোরো চাষাবাদ করে আসছিল। গত বছর থেকে উক্ত আহাদ আলী বিদ্যুতের সংযোগটি লালুকে না দিয়ে নিজেই চালাবেন বলে দাবী করেন। এ নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ, মামলা-হামলা, শালিস বৈঠকস অব্যাহত রয়েছে। এদিকে আবুল কালাম আজাদ উপজেলা সেচ কমিটিতে আবেদন করে কৃষি সেচ নলকূপের লাইসেন্স (অ/৯১৫) প্রাপ্ত হয়। এদিকে উপজেলা সেচ কমিটি লাইসেন্সটি ২০২১ সাল পর্যন্ত নবায়নসহ গত ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে আবুল কালাম আজাদকে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করার সিদ্ধান্ত করেন। বর্তমানে আহাদ আলী মন্ডল আবারো বিদ্যুতের সংযোগের দাবী করলে নিরুপায় হয়ে নলকূপের লাইসেন্সপ্রাপ্ত আবুল কালাম আজাদ গাইবান্ধা পল্লী সমিতিতে একটি আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে গাইবান্ধা পল্লী সমিতি আহাদ আলী মন্ডলের পক্ষে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। কিন্তু আবুল কালাম এবং আহাদের বোরিং-এর দূরন্ত মাত্র ১৬ ফিট। তবে উপজেলা সেচ কমিটির নীতিমালা অনুযায়ী নলকূপের লাইসেন্সপ্রাপ্ত বোরিং হতে কমপক্ষে ৮’শ ৩০ ফিট দূরের অন্য বোরিং-এ বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার বিধান থাকলেও গাইবান্ধা পল্লী সমিতি তা না মোটাঅংকের বিনিময়ে পাশাপাশি বোরিংকৃত জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগের পায়তারা চালাচ্ছে। আহাদ আলী মন্ডল গাইবান্ধা পল্লী সমিতিতে আবেদনকৃত সাবেক দাগ ৪৯১ হাল দাগ ৩৯১ দাগের জমিতে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু বর্তমানে নতুন করে বোরিংকৃত ৪৮৬ দাগের জমিতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার জন্য পায়তারা করছে। একই জায়গায় বোরিংকৃত স্থ’ানে বিদ্যুতের সংযোগ দিতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটতে পারে।
গাইবান্ধা পল্লী সমিতির এজিএম (কম) হুমায়ুন কবির সঙ্গে মোবাইল ফোনে বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়ে কথা বললে তিনি জানান, যেহেতু আহাদ আলীর নামে আগে থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল। কিন্তু নতুন করে নলকূপের লাইসেন্সধারী আবুল কালাম আজাদও একটি আবেদন করেছেন। এ সংক্রান্ত কাগজপত্রাদি যাচাই-বাছাই অন্তে আহাদ আলী মন্ডলকে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/৫:২৩পিএম/১৪/২/২০২০ইং)