• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ১২:৪১ পূর্বাহ্ন

নৌ শ্রমিক নেতা আনিস মাস্টারকে অপহরন, ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি


প্রকাশের সময় : মার্চ ৩, ২০২৪, ৯:১৬ PM / ৫০৭
নৌ শ্রমিক নেতা আনিস মাস্টারকে অপহরন, ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় নৌ পরিবহন শ্রমিক নামধারী সুবিধাভোগি চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা বাল্কহেড ট্রলার নৌ পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান মাস্টারকে প্রকাশ্য দিবালোকে অপহরন করে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে ১২ লাখ টাকা দাবি করে, অন্যথায় প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। বিশ^স্ত সূত্রে খবর পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অপহরনকারী কয়েকজনকে আটক সহ আনিস মাস্টারকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

অপরদিকে ফতুল্লা থানা শ্রমিক লীগের সভাপতি পিয়াস আহমেদ সোহেল ও বাংলাদেশ আন্তঃজিলা ট্রাক-কভার্ডভ্যান মিনি ট্রাক চালক শ্রমিক ইউনিয়ন পাগলা শাখার সভাপতি আলহাজ¦ মো. আবুল হোসেন সহ স্থানীয় শ্রমিক নেতারা সমঝোতার কথা বলে থানা থেকে অভিযুক্তদের মুক্ত করে নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগি আনিস মাস্টার বলেন, ‘‘আমি ৩ মার্চ (রোববার) সকাল ১০টার দিকে মাওলা বাজার এলাকায় বাসা থেকে আদালতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলে চতলার মাঠ এলাকার বাসিন্দা মো. রানা (৪৫), মো. বাবুল (৩৫) আব্দুল লতিফ বেপারী (৪৬), পাগলা বৌবাজার এলাকার রহমান মিয়ার ছেলে মো. আব্দুল্লাহ মামুন (৪০), ধর্মগঞ্জের কুদ্দুস মৃধার ছেলে মো. নাজমুল মৃধা(৩৮), ইদ্রিস মাঝির ছেলে হাবিব মাঝি(৩৫) সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন ব্যক্তি আমার পথ রোধ করে এবং জোরপূর্বক অপহরন করে পশ্চিম ধর্মগঞ্জ মুন্সিবাড়ি রোডস্থ ইশিকা নূর স্টিল নামের এক দোকানে নিয়ে আমাকে আটক করে রাখে এবং এলোপাতারি কিল ঘুষি, লাথি মেরে আমাকে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় তারা আমার কাছে নগদ ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলে তারা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।’’

অপহরণ ও মারধরের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন- ‘বেশ কিছুদিন আগে আমার নাম ব্যবহার করে পাগলা থেকে ধর্মগঞ্জ নৌপথে বিভিন্ন নৌযান থেকে জোরপূর্বক চাঁদাবাজি কর আসছিল অভিযুক্তরা। আমি বিষয়টি জানার পর মৌখিকভাবে তাদেরকে নিষেধ করি। এতে করে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে এবং বিভিন্ন নৌযান থেকে নানা বাহানায় চাঁদা আদায় করতে থাকে। তারা নিজেদেরকে নৌ পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন এর সদস্য দাবি করে নৌযানের লোকজনকে ভূয়া কাগজপত্র দেয়া সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত হয়। আমি বিষয়টি জানার পর তাদের এসব করতে নিষেধ করায় উল্লেখিতরা বিভিন্ন সময় আমাকে প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। এর সূত্র ধরে তারা আমাকে অপহরনের ঘটনা ঘটায়।’

তিনি বলেন- ‘পুলিশ এসব অপহরণকারীদের হাত থেকে আমাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে এলে রোববার বিকেলে আমি উল্লেখিত অপরাধীদের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি এবং ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করি। তবে যে কোনো সূত্রে খবর পেয়ে ফতুল্লা থানা শ্রমিক লীগের সভাপতি পিয়াস আহমেদ সোহেল ও বাংলাদেশ আন্তঃজিলা ট্রাক-কভার্ডভ্যান মিনি ট্রাক চালক শ্রমিক ইউনিয়ন পাগলা শাখার সভাপতি আলহাজ¦ মো. আবুল হোসেন সহ স্থানীয় শ্রমিক নেতারা থানা কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে। তারা নিজ দায়িত্বে বিষয়টি দেখবেন বলে আমাকে আশ^স্ত করেছেন। আমি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে লিখিত অভিযোগ দিলেও বিষয়টি তাদের মাধ্যমেই সমঝোতা হোক চাই এবং আমি সঠিক ন্যায় বিচার পাব বলে আশা করছি। আর যদি এ বিষয়ে কোনো ধরনের প্রতারণা বা কূটকৌশলের শিকার হই, তাহলে অবশ্যই আইনীভাবে আমি এর সঠিক পদক্ষেপ নিব।’