• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২২ অপরাহ্ন

চাপে বাংলাদেশ


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১০, ২০১৭, ১১:৩৭ AM / ৩৮
চাপে বাংলাদেশ

 

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছেন বিরাট কোহলি। সঙ্গে আজিঙ্কা রাহানেও খেলে যাচ্ছেন দাপটে। অসহায়ের মতো শুধু বল করে যাচ্ছেন তাসকিন, সাকিবরা কিন্তু উইকেটের দেখা মিলছে না। তাইতো শুক্রবার হায়দ্রাবাদ টেস্টের দ্বিতীয় দিনে এক ঘন্টা পেরিয়ে যাওয়ার আগেই চারশ ছাড়িয়ে গেল ভারত। এ রিপোর্ট লেখার সময় তাদের ১ম ইনিংসে রান ৩ উইকেট হারিয়ে ১০০ ওভারে ৪১১।
কোহলি ১৫১ ও রাহানে ৬০ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার হায়দ্রাবাদ টেস্টের প্রথম দিনে টাইগারদের বিপক্ষে ভারত প্রথম ইনিংসের ৩ উইকেট হারিয়ে ৯০ ওভারে করে ৩৫৬ রান। ব্যাটিং উইকেটে সেঞ্চুরি না করলে কি হয়? বিরাট কোহলি শেষ বিকেলে পেয়ে যান তিন অংকের ম্যাজিক স্কোরের দেখা। ১৩০ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৬ নম্বর সেঞ্চুরি। তার আগেই শতরান তুলে নেন মুরালি বিজয়।
শুক্রবার সকালে উইকেটে নামেন দুই নট আউট ব্যাটসম্যান কোহলি ১১১ ও আজিঙ্কা রাহানে ৪৫ রানে। আগের দিনই তারা চতুর্থ উইকেট জুটিতে এরইমধ্যে জমা করেন ১২২ রান।
ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ভারতে টেস্ট খেলতে নেমে স্বপ্নের মতো একটা সূচনা হয়েছিল বাংলাদেশের। রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে টস হেরে দল ফিল্ডিংয়ে। অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম বল তুলে দিলেন তাসকিন অাহমেদের হাতে। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই বাজিমাত। ইনিংসের প্রথম ওভারে লোকেশ রাহুলকে ফিরিয়ে তাসকিন তেমন ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাভার ড্রাইভ করতে গিয়ে বোল্ড এই ওপেনার। ২ রান করে ফেরেন তিনি।
তারপরের গল্পটুকু শুধুই হতাশার। ব্যক্তিগত ৩৫ রানের সময়ই আউট হতে পারতেন মুরালি বিজয়। কিন্তু মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যর্থতায় অবিশ্বাস্য ভাবে সহজ রান আউট থেকে বেঁচে যান তিনি। সেই লাইফ লাইনটা কাজে লাগিয়ে ভারতীয় ওপেনার কিনা তুলে নিলেন সেঞ্চুরি! যদিও সেই সেঞ্চুরিটাকে আরো বড় হতে দেননি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে বিজয়ের জুটিটাও সেভাবে জমাট দেননি। তাইজুলের বলে বোল্ড হয়ে ফেরার সময় বিজয়ের রান ১০৮। এটি তার নবম টেস্ট শতরান।
বিজয় ও চেতেশ্বর পুজারার জুটি জীবন পেয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল। দ্বিতীয় সেশনে সেটি ভাঙা গেছে। ওই দুই ঘণ্টায় একটি মাত্র উইকেট। মেহেদী যেন শাপমোচন করেছেন, তবে বড় দেরিতে। সেঞ্চুরি পথে থাকা পুজারাকে দেখিয়ে দিলেন সাজঘরের পথ। ৮৩ রানে ফিরে যান তিনি। অফ স্পিনারের বলে ক্যাচ গ্লাভসবন্দি করেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। ১৭৭ বলে ৯টি চারে ৮৩ রান করেন তিনি। পুজারা এবং বিজয় দুজন মিলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে জমা করেন ১৭৮ রান। সর্বশেষ এই মাঠেই ২০১২-১৩ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দু’জন দেড়শর চেয়ে বেশি রানের জুটি গড়েন।
অবশ্য দুজনই হাফসেঞ্চুরির আগেই ফিরতে পারতেন সাজঘরে। কিন্তু ক্যাচ ড্রপ আর রান আউট মিসে তা আর হল না! কথায় আছে ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস। সেই কথাটা ঠিক ধরে নিলে দুঃসংবাদই অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য। তবে বৃহস্পতিবার হায়দ্রাবাদ টেস্টের অনেকটা পথ বাকি। এখনই জয়-পরাজয়ের হিসেব-নিকেশ করার সুযোগ নেই! কিন্তু জীবন পাওয়া দুই ব্যাটসম্যান ঠিকই সুযোগের সদ্ব্যবহার করছেন।
এর আগে হাসিমুখেই দুপুরের খাবারটা সারতে পারতেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তারপর বিজয় ও পুজারাও ধরতে পারতেন তার পথ। কিন্তু ক্যাচ ড্রপ আর রান আউট মিসে তা হয়নি। পুজারা হাফসেঞ্চুরি করতে খেলেন ১০৮ বল। তবে বিজয় ছিলেন আক্রমণাত্মক। ৮২ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে মেহেদীর শিকার হলেন পুজারা। এই মাঠে আগের দুই টেস্টে পূজারা ১৮১.৫০ গড়ে করেন ৩৬৩ রান!
রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ‘ঐতিহাসিক’ ম্যাচে অবশ্য টস ভাগ্য কথা বলে বিরাট কোহলির পক্ষে। ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেননি ভারত অধিনায়ক। উইকেটের কথা ভেবে টিম ম্যানেজমেন্ট খেলাচ্ছে তিন স্পিনার। সাকিবের সঙ্গে মেহেদী ও তাইজুল। পেস আক্রমণে তাসকিনের সঙ্গে কামরুল ইসলাম রাব্বী।
২০০০ সালে অভিষেকের পর এই প্রথম ভারতের মাটিতে টেস্ট খেলছে বাংলাদেশ।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১১:৩৩এএম/১০/২/২০১৭ইং)