• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন

ওর দ্বারা এসব সম্ভব না : হিরো আলমের স্ত্রী


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ২৩, ২০১৮, ১২:০১ PM / ৬৭
ওর দ্বারা এসব সম্ভব না : হিরো আলমের স্ত্রী

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক: ‘আমার স্বামী আমাকে দেখে না কে বলল? আমার স্বামীর ব্যবসা তো আমি দেখি। সে এখন মিউজিক ভিডিও নিয়ে কাজ করে। ঢাকায় থাকে, সপ্তাহ অথবা ১০ দিনে দেখা হয়। বাসায় আসে। বাসায় সে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে পড়ে থাকে। তার বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থাকতো তাহলে আমি কি ওর সাথে থাকতাম?’

কথাগুলো বলছিলেন বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু ) জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়নপত্র নেওয়া আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের স্ত্রী সাবিহা আক্তার সুমি। তিনি বলেন, কয়েকজন মানুষ আসছিল। সাংবাদিক পরিচয়ে তারা উল্টাপাল্টাভাবে আমার শ্বশুরের সাথে কথা বলে নিউজ লিখছে শুনলাম। আমার সন্তানদের আলম দেখে কি না সেটা আমি ছাড়া কে ভালো বুঝবে?

সুমীর বয়স এখন আনুমানিক ২৬। কথায় আঞ্চলিকতার টান তুলনামূলক কম। পড়েছেন দশম শ্রেণি পর্যন্ত। তিনি আলমের বিপক্ষে কথা বলতে নারাজ, অভিযোগ প্রসঙ্গে কথা বলতেই তিনি রেগে উঠছেন। আপনার বোনকে নিয়ে নাকি আলম পালিয়েছিল? এই প্রশ্নের উত্তরে সুমী বলেন, আমার বোনকে নিয়ে আলম পালাবে আর আমি তার স্ত্রী হয়ে ঘরে থাকবো? ঘটনা একটা ঘটেছিল, সেটাকে গ্রামে অন্যভাবে ছড়ানো হয়েছে। আলম সহজ সরল। ওর দ্বারা এসব সম্ভব না।

শ্যালিকাকে নিয়ে পালানোর বিষয়ে সুমী বলেন, ‘আমার ছোট বোনের এক জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু ও রাজি ছিল না বিয়েতে। পরে আলমের সাহায্য নিয়ে সে অন্যখানে কয়েকদিন লুকিয়ে ছিল। আমরা সবাই জানতাম এই ঘটনা। কিন্তু গ্রামের লোকজন সেটা অন্যভাবে ছড়ায় যার কারণে শালিস হয়। শালিসে আলমের কোনো অপরাধ পাওয়া যায়নি। আমার বোনের অন্যখানে বিয়ে হয়েছে, একটা বাচ্চাও আছে।’

আলমের বাড়ি এরুলিয়ার পলিবাড়িতে। ২০০৭ সালে পার্শ্ববর্তী শাহপাড়ার মেয়ে সুমীর সাথে বিয়ে হয়। ছোটবেলা থেকেই অভাব-অনটনের সাথে চলা আলমের পরিবার তাকে আরেক পরিবারের হাতে তুলে দেয়। আলম চলে আসেন একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের বাসায়। আব্দুর রাজ্জাক তাকে ছেলের মতো করেই বড় করে তোলেন। স্নেহ করতেন। কিন্তু গ্রামে অভাব তো প্রায় মানুষের আছে।

আলমের পালক পিতা আব্দুর রাজ্জাকের সংসারও অভাবের ছোঁয়া পায়। স্থানীয় স্কুলে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে আলমকে নেমে পড়তে হলো জীবিকা নির্বাহের তাগিদে। সিডি বিক্রি থেকে আলম ডিশ ব্যবসায় হাত দিয়ে সফলতা অর্জন করেন। নিজের চেষ্টায় তার মাসে আয় ৭০-৮০ হাজার টাকা।

সুমী বলেন, ‘ডিশ ব্যবসার সমস্ত হিসাব কিতাব আমি দেখি। লাইনের কোনো সমস্যা হলে কাজের লোক দিয়ে আব্বাকে (শ্বশুর) পাঠাই। ডিশ ব্যবসায় হেল্প করার জন্য আমাদের এখানে মোট ৮ জন লোক কাজ করে। আলম না থাকলেও আমরা সবকিছু সামলে নেই।’

হিরো আলমের বড় মেয়ে আলোমনি দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে, মেজো মেয়ে আঁখি ১ম শ্রেণির ছাত্রী এবং ছেলে আবিরের বয়স চার বছর। তিন সন্তান ও স্ত্রী সুমীকে নিয়েই সংসার। হিরো আলমের মতো সুমীরও দাবি, তার সুখের সংসার। আলমের বাবা রাজ্জাক ও স্ত্রীর আক্ষেপ এক জায়গায় সেটা হলো নির্বাচন নিয়ে। তাদের ধারণা নির্বাচন করে অনর্থক টাকা-সময় নষ্ট হবে।

হিরো আলম তার বিরুদ্ধে উঠে আসা অভিযোগ নিয়ে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আমার বৌয়ের কোনো অভিযোগ নাই। আপনি চাইলে কথা বলে দেখতে পারেন। আমি ইদানীং ঢাকায় বেশি থাকি, তাই সুমী ও আমার বাবা ব্যবসা দেখে। আমি সুযোগ পাইলেই চলে যাই। আমার বিরুদ্ধে বিপক্ষ পার্টির কয়েকজন নিউজ করাচ্ছে। তারা চায় আমার নামে বদনাম ছড়ায়ে দিয়ে আমাকে নির্বাচন থেকে সরাতে, আমি জানি কারা এসব করছে। আমি নাকি মনোনয়নপত্র হারায়ে ফেলছি এমন ভুয়া নিউজও করছে তারা।’

হিরো আলম আরো বলেন, ‘আমি সবসময় বলেছি-আমার সব ভালো কাজের জন্য আমার অনুপ্রেরণা আমার স্ত্রী। আর যেসব গুজব হয়েছে, এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। আপনারা চাইলে এ বিষয়ে আমার স্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলতে পারেন।’ (কালেরকন্ঠ)  (কালেরকন্ঠ)
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১১:৫৫এএম/২৩/১১/২০১৮ইং)