• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪০ অপরাহ্ন

স্ত্রী’র বিবস্ত্র ছবি ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে স্বামীর চাঁদাবাজি


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৫, ২০২২, ৮:২৬ PM / ১৯০
স্ত্রী’র বিবস্ত্র ছবি ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে স্বামীর চাঁদাবাজি

নিজস্ব প্রতিবেদক : গোপনে স্ত্রীর বিবস্ত্র ছবি মোবাইলে তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন পর্ণ সাইটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে স্বামী মিরাজ তালুকদার(২৫)। সে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর বৈঠাকাটা কলারদোয়ানিয়া এলাকার হারুন তালুকদার ও মিনারা বেগমের ছেলে। এ ব্যাপারে ৪ ডিসেম্বর(রোববার) নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগি নারী।

অভিযোগে জানা গেছে, ভুক্তভোগি নারী পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার সোহাগদল ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগদল এলাকার আব্দুস সালাম মোল্লার মেয়ে। শিশুকালে বাল্যবিয়ের স্বীকার এবং পরবর্তিতে স্বামী পরিত্যাক্তা হয়ে নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার শিবু মার্কেটে একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেয় এবং পাশেই মধ্য সস্তাপুরে আতাউর রহমানের বাড়িতে ‍ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে।

এদিকে মিরাজ তালুকদার দীর্ঘদিন ধরে তাকে গার্মেন্টসে যাওয়া আসার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে এক পর্যায়ে জোড়পূর্বক চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর একটি কাজি অফিসে নিয়ে গিয়ে ২ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করে স্ত্রীর ভাড়া বাসায় থাকা শুরু করে। পরবর্তীতে ৫ নভেম্বর স্ত্রী গার্মেন্টসে ডিউটিতে গেলে মিরাজ ওয়ারড্রপের তালা ভেঙে প্রায় ১ ভরি সমপরিমান স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায়। এক পর্যায়ে স্ত্রীকে 01617613354 এই নাম্বার থেকে ফোন করে এবং ইমুতে কল করে নদগ ১ লক্ষ্য টাকা দাবি করে, তা না হলে স্ত্রীর ঘুমন্ত অবস্থায় তোলা বিবস্ত্র ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন পর্ণ সাইটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। স্ত্রী টাকা দিতে অস্বীকার করলে গ্রামের বাড়িতে থাকা তার ছোট ভাই ও চাচা সহ বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনদের ইমুতে সেই ছবি পাঠিয়ে একইভাবে ভয় দেখায় এবং বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন অংকের টাকা দাবি করতে থাকে। এক পর্যায়ে অতীষ্ট হয়ে কোনো উপায় না পেয়ে ওই নারী স্থানীয় এক মুরব্বির মাধ্যমে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীর সরণাপন্ন হলে তিনি তাকে প্রাথমিকভাবে থানায় লিখিত অভিযোগ করার পরামর্শ দেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে এসআই হুমায়ুন এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্তকে ধরার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তবে আমরা অভিযোগকারী নারীটিকে পরামর্শ দিয়েছি সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগে গিয়ে আরেকটি অভিযোগ করার।’