ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : ইরাকের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়া এক আইএস জঙ্গি স্বীকার করেছে, সে পাঁচশো মানুষের শিরশ্ছেদ করেছে এবং দুইশো নারীকে ধর্ষণ করেছে। এক সাক্ষাৎকারে সে অবলীলায় স্বীকার করে নিজের অপকর্মের কথা। ওমর হুসেইন নামের এই জঙ্গি জানায়, ইরাকে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ইয়াজিদি ও সংখ্যালঘু অন্য নারীদের ধর্ষণ করেছে সে।
প্রায় পাঁচশো মানুষকে কীভাবে খুন করেছে তার বর্ণনাও দিয়েছে সে। এদের কাউকে সে শিরশ্ছেদ করেছে আবার কাউকে চোখ বেঁধে গুলি করে হত্যা করেছে। তবে এর জন্য তাকে অনুশোচনা করতে দেখা যায়নি।
রয়টার্সকে জঙ্গি ওমর বলেছে, ‘যাকে গুলি করা দরকার তাকে আমরা গুলি করেছি, আর যার শিরশ্ছেদ করা দরকার আমরা তার শিরশ্ছেদ করেছি।’ গত অক্টোবরে ইরাকি বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে এই ভয়ঙ্কর জঙ্গি।
অপরদিকে, আহলে বায়াত নিউজ এজেন্সিকে উধ্বৃত করে ডেইলি মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘একসঙ্গে ৭, ৮, ১০ বা ৩০ থেকে ৪০ হোক আমরা তাদের মরুভূমিতে নিয়ে গিয়ে খুন করেছি।’
মাত্র ১৪ বছর বয়সেই কীভাবে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে সে কথাও জানিয়েছে ওমর। নিজেকে দারিদ্র্যের শিকার বলেও দাবি করেছে সে। বর্তমানে কুর্দি গোয়েন্দা বাহিনীর হেফাজতে রয়েছে এই জঙ্গি।
কুর্দি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন, ‘ওমর যে ধর্ষণ ও খুন করেছে, তার প্রমাণ তাদের কাছে আছে। কিন্ত সে কী পরিমাণে এই অপরাধ করেছে, সে সম্পর্কে কোনো ধারণা এখন পর্যন্ত তাদের কাছে নেই।’
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/২:০৫পিএম/২০/২/২০১৭ইং)
আপনার মতামত লিখুন :