• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন

২হাজার পরিবারের অর্ধকোটি টাকা নিয়ে স্বামী স্ত্রী উধাও!


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৪, ২০১৮, ১০:৩১ PM / ৩৫
২হাজার পরিবারের অর্ধকোটি টাকা নিয়ে স্বামী স্ত্রী উধাও!

ঢাকারনিউজ২৪.কম, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) : সহজ সরল মানুষ অতি সহজেই বিশ্বাস করে ভেবে নেয় আপনজন তুলে দেয় নিজের সম্বল। আর সেই বিশ্বাসী ব্যাক্তিরা পদে পদেই প্রতারনা চালিয়েই যাচ্ছে দিনের পর দিন থেকেও যাচ্ছে ধরাছোয়ার বাহিরে। ভুক্তভোগীরা পথে পথে ঘুরে হয়রান সাথে নিশ্ব হচ্ছে হাজারো পরিবার। আর সেই একটি প্রতারক চক্রের ফাঁদে পরে প্রায় ২হাজার পরিবার হতাশ হারিয়ে তাদের সম্বল। প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া চক্রের প্রধান বিজলী ও তার স্বামী হারুন নিরুদ্দেশ।
জানা গেছে, উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ ওয়াড়ী সদ্দারপাড়া এলাকার ফয়জার রহমানের পুত্রবধূ বিজলী বেগম, স্বামী হারুন মিয়া পরিকল্পিত ভাবে নিজ এলাকাসহ আশপাশের এলাকার সহজ সরল মহিলাদের প্রথমে আটা দেয়ার কথা বলে নাম প্রতি ১হাজার টাকা করে উত্তোলন করে এবং হতদরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সরবরাহ এই ব্যানারে বেশ কয়েকজনের মাঝে আটাও বিরতন করে। পরবর্তীতে এই ব্যানারকে কাজে লাগিয়ে গ্রামের সহজ সরল মহিলাদের ভুলিয়ে বিজলি ও তার স্বামী এজেন্ট তৈরি করে বিধাব ভাতা, বয়স্ক ভাতা, শিশু ভাতাসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে জনপ্রতি ২হাজার থেকে ৫হাজার করে টাকা উত্তোলন করতে থাকে আর এভাবে প্রায় ২হাজার থেকে ৩হাজার মহিলার কাছে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে হঠাতেই স্বামী স্ত্রী উধাও হয় বলে এলাকাবাসীসহ ভুক্তভুগিরা জানান। ভুক্তভুগি মর্জিনা, সাবেদাসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন বিজলী ও তার স্বামী হারুন তাদের সাথে সরকারী ও বে-সরকারী বিভিন্ন সংস্থার যোগাযোগ আছে বলে আমাদের বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে টাকা চাইলে আমরা সরল বিশ্বাসে তাদের হাতে টাকা তুলে দিয়েছে। এলাকার জাহাঙ্গির মেম্বারসহ অনেকে বলেন সত্যি কথা বলতে কি তারা যখন আটা দেয়ার জন্য টাকা নিয়ে প্রথমে আটা দিয়েছিল এবং সেই বিতরনে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ গন্যমান্য ব্যাক্তি উপস্থিত থাকায় এলাকার সাধারন মানুষ অতি সহজে তাদের বিশ্বাস করেছিল। তাদের কথা মতো টাকা তোলার এজেন্ট পপি ও নাজমা বলেন আমরা বুঝতে পারি নাই যে বিজলি ও তার স্বামী প্রতারনা করে টাকা নিয়ে পালিয়ে যাবে। তারা আরো বলেন উভয়ে ৩শতাধিক মহিলার কাছে ৩ লক্ষটাকা তুলে বিজলীকে দিয়েছে। শুধু তারাই নয় এরকম অনেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েছে তাদের হাতে তুলে। এদিকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা প্রতারক চক্রের হোতারা ধরাছোয়ার বাহিরে থাকায় প্রতিদিন পাওনাদারা তাদের বাড়িতে ভির করছে তাদের কষ্টের টাকা ফেরতের জন্য। এসময় অনেকে কান্না জনিত কন্ঠে বলেন আমরা সুদের উপর টাকা এনে দিয়েছিলাম বাড়িতেও বলি নাই এখন স্বামীর ভয়ে বাড়িতেও থাকতে পারছিনা। এছাড়াও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে টাকা উত্তোলনকারী বেশ কিছু এজেন্টও পাওনাদারের ভয়ে হয়েছেন বাড়ি ছাড়া। ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম (বিএসসি) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমি বিষয়টি শুনেছি। এব্যাপারে অভিযুক্ত ব্যাক্তি বিজলীর সাথে (০১৯৯৪৬৫৪৪০৭ ও ০১৭৩৫০৯২৬১৮) যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে মোবাইল নাম্বার দু’টি বন্ধ পাওয়া যায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মির্জ মুরাদ হাসান বেগ এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১০:৩০পিএম/২৪/৪/২০১৮ইং)