• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১২ অপরাহ্ন

১৫ দিনের কারাদণ্ড রাশিয়ার বিরোধী নেতার


প্রকাশের সময় : মার্চ ২৮, ২০১৭, ১:০৪ PM / ৩১
১৫ দিনের কারাদণ্ড রাশিয়ার বিরোধী নেতার

ঢাকারনিউজ২৪.কম:

রাশিয়ার একটি আদালত গতকাল সোমবার বিরোধীদলীয় নেতা আলেক্সেই নাভালনিকে ১৫ দিনের সাজা দিয়েছেন। রাজধানী মস্কোয় গত রোববার দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের সময় ‘পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার’ অপরাধে তাঁকে এই কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি অনুমোদন ছাড়া জনসভায় অংশগ্রহণের জন্য নাভালনিকে ৩৫০ মার্কিন ডলারের সমমূল্যের অর্থ জরিমানা দিতে হবে।
নাভালনিসহ অন্তত এক হাজার বিক্ষোভকারীকে রোববার পুলিশ আটক করে। মস্কোর অভিযোগ, তাঁরা ‘উসকানিমূলক’ কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রুশ কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগের সমালোচনা করে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বিষয়টিকে ‘গণতন্ত্রের অপমান’ আখ্যা দিয়েছে।
রাশিয়ায় গত কয়েক বছরের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।
প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর নাভালনি রোববারের বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেন। তিনি গতকাল আদালতে বলেন, ‘বিপুল অঙ্কের চুরির অভিযোগ উঠলেও কর্তৃপক্ষ নীরব রয়েছে। বিক্ষোভ সমাবেশ বৈধ ছিল। এক হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু লাখ লাখ মানুষকে গ্রেপ্তার করা অসম্ভব।’
পুলিশ বলছে, মস্কোর কেন্দ্রস্থলে সাত হাজার থেকে আট হাজার মানুষ রোববার বিক্ষোভ করে। প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিন একে উসকানিমূলক আখ্যা দিয়েছে। ক্রেমলিন আরও দাবি করেছে, শিশুদের এই বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার বিনিময়ে ‘আর্থিক পুরস্কারের’ প্রলোভন দেখানো হয়েছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, তাঁরা জনগণের নাগরিক অধিকারের মর্যাদা দেন। তবে তা অবশ্যই আইনসংগত হতে হবে।
নাভালনির নাম উল্লেখ না করে পেসকভ বলেন, ‘কেউ কেউ জনগণকে নিজেদের স্বার্থে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতেই থাকবে। বিষয়টি নিয়ে ক্রেমলিন চিন্তিত। এটা অবৈধ ও বেআইনি কাজ।’
রুশ সংবিধানে জনসমাবেশের সুযোগ স্বীকৃত। তবে সাম্প্রতিক কয়েকটি আইনের আওতায় নগর কর্তৃপক্ষ অনুমোদন ছাড়া সমাবেশকে বেআইনি বলতে পারে।
মস্কো ছাড়াও রোববার রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সেন্ট পিটার্সবার্গে বিক্ষোভ হয়েছে। সেখানেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ প্রতিবাদে অংশ নেয়।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ১৭ বছর ধরে রাশিয়ার শাসনক্ষমতায় আছেন। এই সময়ের মধ্যে একটি প্রজন্ম বেড়ে উঠেছে। নাভালনি ও তাঁর সহযোগীরা ওই কিশোর-তরুণদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন।
নাভালনি টুইটারে লিখেছেন, ‘বিক্ষোভকারীদের নিয়ে আমি গর্বিত। আপনারা রাশিয়ার সেরা মানুষ এবং একটি স্বাভাবিক ভবিষ্যতের আশা।’
যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর সমালোচনা
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মার্ক টোনার বলেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারী, মানবাধিকার পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের আটক করা মৌলিক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিরোধী।
অন্যদিকে ইইউ আটক বিক্ষোভকারীদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য মস্কোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। জোটের একজন মুখপাত্র বলেন, মস্কোর পুলিশ মতপ্রকাশের মৌলিক স্বাধীনতায় বাধা দিয়েছে। সমাবেশ শান্তিপূর্ণ ছিল।

 

  (ঢাকারনিউজ২৪.কম/এনএম /০১.০০ পিএম/২৮//২০১৭ইং)