• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন

হরতাল-অবরোধ বন্ধে শিল্পী সমাজের মানববন্ধন


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৮, ২০২৩, ২:৪০ PM / ২৪৭
হরতাল-অবরোধ বন্ধে শিল্পী সমাজের মানববন্ধন

ঢাকারনিউজ : দেশে চলমান হরতাল-অবরোধ বন্ধ করতে মানববন্ধন করেছে শিল্পী সমাজ। আজ শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘ধ্বংসের বিরুদ্ধে শিল্পী সমাজ’ ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেককে অংশ নিতে দেখা যায়।

মানবন্ধনে অংশ নেওয়া বক্তারা বলেন- বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিল্পী সমাজের অনেক বড় একটি ভূমিকা রয়েছে। ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ এর মুক্তিযোদ্ধায় শিল্পী সমাজ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না, দেশের উন্নয়নকে মেনে নিতে পারে না তাদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না। এসময় শেখ হাসিনাতে আস্থা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।

মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা বিচ্ছু জালাল বলেন, আমরা স্বাধান বাংলাদেশে পাকিস্তানি এবং মার্কিন পেতাত্মা আগুন সন্ত্রাস করে দেশের মানুষকে হত্যা করছে। আজ ৫২ বছর পর শিল্পী সমাজের সঙ্গে এক হয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। শেখ হাসিনার প্রতি আমাদের আস্থা আছে।

অভিনেতা তুষার খান বলেন, যারা রাজনীতি করেন তারা কি রাজনীতির সংজ্ঞা জানেন! জ্বালাও, পোড়াও না করে আগে রাজনীতির সংজ্ঞা জেনে আসুন।

চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলেন, হরতাল-অবরোধ ডিকশনারি থেকে হারিয়ে গিয়েছিল৷ সেই শব্দগুলো আবার ফিরে এসেছে ৷ আমার বাচ্চারা যখন জিজ্ঞেস করে আমরা শুক্রবার, শনিবার কেন পরীক্ষা দিবো? রোববারে কেন অনলাইন ক্লাস করবো? এই শিশুগুলো বেড়ে উঠছে, এতে তারা কী শিক্ষা নিয়ে বেড়ে উঠছে! তাদের আমরা কী শিক্ষা দিচ্ছি? অগ্নিসন্ত্রাস, বর্বরতা! এমনিতেই করোনার দুই বছর আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি। একজন মানুষের সঠিক নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে গেছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল,কর্ণফুলি টানেল করেছে। আমাদের জীবনটাকে সুন্দর করেছে। এটা কি তার দোষ! আমাদের একমাত্র আস্থার জায়গা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অভিনেত্রী নিপুন আক্তার বলেন, শেখ হাসিনাতেই তো আমাদের আস্থা। কারণ আজকে আমি অভিনয় শিল্পী থেকে নারী উদ্যোক্তা হয়েছি একমাত্র শেখ হাসিনার কারণে আজকে যারা নারী উদ্যোক্তা হয়েছে তার অন্যতম কারণ শেখ হাসিনা। হরতাল অবরোধের কারণে আমাদের কর্মচারীরা কারখানায় আসতে পারছে না। বাসে উঠতে ভয় পাচ্ছে, এ কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। হরতাল-অবরোধ আমাদের দেশ থেকে চলে গিয়েছিল৷ শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই।

চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহি বলেন, আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি তার একমাত্র লক্ষ্য আমরা যাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে কাজ করতে পারি এবং আগামী নির্বাচনে বিপুল ভোটে তাকে জয়যুক্ত করতে পারি। আমরা শিল্পীরা সবাই নিজ নিজ জায়গায় থেকে যা যা করা দরকার আমরা ইনশাআল্লাহ মাঠে থাকবো। প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ। আমরা চাই না বিএনপি আবারও দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার সুযোগ পাক।

সঙ্গীত শিল্পী এস.ডি.রুবেল বলেন, আমরা শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখতে চাই। তিনি অসহায় মানুষকে ঘর বাড়ি দিয়েছেন। এমন মানবিক প্রধানমন্ত্রী আমাদের দরকার।

চিত্রনায়ক রিয়াজ আহমেদ বলেন, আমরা শিল্পী আমাদের থাকার কথা ছিল সিনেমার পর্দায় অথবা টেলিভিশনের পর্দায়৷ কিন্তু আজ আমরা রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছি। কারণ একাত্তরের পরাজিত শক্তি ৭৫ এর ১৫ আগস্ট ঘটিয়াছে। জাতীয় চার নেতাকে জেলে হত্যা করেছে। পরবর্তীতে সিনেমা হলগুলোতে বোমা মেরেছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে এসে আমরা দেখছি তারা আবারও কী যেন একটা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। দিনে দুপুরে পুলিশ পিটিয়ে হত্যা করছে। হাসপাতালে, অ্যাম্ব্যুলেন্সে হামলা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে পেট্রোল বোমা মেরে পুড়িয়ে দিচ্ছে। তারা রাজনীতির নামে যা করছে আমার কাছে মনে হয় তাদের এই কর্মকাণ্ড দেশদ্রোহিতার শামিল৷