• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৩:৩০ অপরাহ্ন

সোহরাওয়ার্দীতে জনসভার অনুমতির অপেক্ষায় বিএনপি


প্রকাশের সময় : মে ২৩, ২০১৭, ১২:৫৭ PM / ৮৫
সোহরাওয়ার্দীতে জনসভার অনুমতির অপেক্ষায় বিএনপি

 

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তল্লাশির ঘটনার প্রতিবাদে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার অনুপিতির অপেক্ষায় বিএনপি। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে হানার ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল( বুধবার) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জনসভা উপলক্ষে বিএনপি ঢাকা মহানগর ও অঙ্গ সংগঠনগুলো ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে অনুমতির জন্য আমরা গণপূর্ত বিভাগ ও পুলিশের কাছে চিঠি দিয়েছি। আজকেও মধ্যেই তারা অনুমতি দিবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

বিরোধী দলের ভাবমুর্তি নষ্ট করার জন্য পোড়ামাটি নীতি গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘এরই অংশ হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে পুলিশি তল্লাশি চালিয়েছে। অশুভ পরিকল্পনা কখনই মানুষের চোখকে ধুলা দিতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘পুলিশি ক্ষমতার যথেচ্ছ প্রয়োগ বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোকে দমন ক্রিয়ায় নিযুক্ত। বর্তমান ২ নম্বর বাকশালী শাসনে প্রশ্নাতীত একক কর্তৃত্বে অধিষ্ঠিত হয়েছেন শেখ হাসিনা। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া পুলিশ বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে হানা দিতে পারত না। এ ঘটনায় জনমনে এই প্রশ্নই দেখা দিয়েছে আবারও প্রধানমন্ত্রী পেছনে দরজা দিয়ে আরেকটি ভোটারশূন্য নির্বাচন করবেন কিনা?’

ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘শুধু বিপর্যয় বললে ভূল হবে মানুষের জীবন বিপন্ন হতে চলছে। গরমজনিত রোগে হাসপাতালগুলোতে ভীড় বাড়ছে। গ্রামাঞ্চল ও মফস্বল শহরে লোডশেডিং হচ্ছে প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা করে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, রাজশাহীর মতো বড় বড় শহর-নগরেও লোডশেডিং হচ্ছে দফায় দফায়। এদিকে বিদ্যুৎ সংকটে সারা দেশের মানুষের মধ্যে যখন ত্রাহি দশা, তখন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) ওয়েবসাইট দিচ্ছে সম্পূর্ণ ভিন্ন তথ্য।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ নিয়ে সবসময় ডাহা মিথ্যা কথা বলে এসেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের তথ্য নিয়ে তারা জনগনকে ধোঁকা দিচ্ছে। মূলত কুইকরেন্টালের নামে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ করে ক্ষমতাসীনদের আত্মীয় স্বজনদের মোটাতাজাকরণ ছাড়া আর কিছুই উন্নতি হয়নি। ভর্তুকি দিয়ে কুইকন্টোল বিদ্যুৎ স্থাপন করে মূলত লুটপাটেরই সুযোগ দেওয়া হয়েছে, আর কেটে নেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষের পকেট। অনুন্নোয়নের শরীরে প্রসাধনী মাখালেই উন্নয়ন হয় না। সেটি হয় ধাপ্পাবাজি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী সরকার শুরু থেকেই এ কাজটি করে আসছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির কথা বলে জনগণের পকেট থেকে লক্ষ কোটি টাকা বের করে নিয়ে জনগণকে উপহার দেয়া হয়েছে দুর্বিষহ লোডশেডিং। জ্যৈষ্ঠের খরতাপে মানুষের যখন স্বস্তি দরকার তখন এই দীর্ঘক্ষণ লোডশেডিং সরকারের উন্নয়নের জলজ্যান্ত উদাহরণ।’
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১২:৫৫পিএম/২৩/৫/২০১৭ইং)