• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন

সাভারে আটকদের একজন নব্য জেএমবির নতুন নেতা


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৮, ২০১৭, ৩:৩৩ PM / ১০৪
সাভারে আটকদের একজন নব্য জেএমবির নতুন নেতা

ঢাকারনিউজ২৪.কম:

নব্য জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপ বিদেশ থেকে নৌ-পথে বাংলাদেশে অস্ত্র-গোলাবারুদ নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছিল। এজন্য তারা জাহাজে নিজেদের লোক রিক্রুট করার চেষ্টা করছিল। হাতিয়ায়সহ উপকূলীয় অঞ্চলে তাদের বেশ কিছু ট্রলার রয়েছে। সারোয়ার জাহান ও তামিমের পর নেতৃত্বে আসেন তামিম দ্বারী। যিনি অনেক আগে থেকে তামিম চৌধুরীকে সহযোগিতা করে আসছিলেন।

শুক্রবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।

র‌্যাব বলছে, বৃহস্পতিবার রাতে সাভারে অভিযান চালিয়ে এই তামিম দ্বারীসহ দু’জনকে আটক করা হয়েছে।

মুফতি মাহমুদ জানান, র‌্যাবের তদন্তে তামিম দ্বারীর নাম আসে; হলি আর্টিসান হামলার কয়েক বছর আগ থেকেই নিহত তামিম চৌধুরীর সঙ্গে যার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৈঠক করে নাশকতার পরিকল্পনাও করেছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে তামিম দ্বারীর সঙ্গে অন্য যে দু’জনকে আটক করা হয়েছে তারা হলেন- কামরুল হাসান ওরফে কাজল ওরফে নুরুদ্দিন (২৬) ও মোস্তফা মজুমদার ওরফে শিহাব ওরফে হামজা (৩২)।

তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি, ২টি ম্যাগাজিন, প্রায় এক কেজি প্লাস্টিক এক্সপ্লোসিভসহ আইইডি তৈরির সরঞ্জাম, ৩টি চাকু, ১টি চাপাতি, ১টি ল্যাপটপসহ বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করা হয় বলেও জানিয়েছে র‌্যাব।

র‌্যাব সদরের গণমাধ্যম কর্মকর্তা মুফতি মাহমুদ আরও বলেন, ২০০৩ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর তাবলীগ জামাতের অনুসারী হয় দ্বারী। সে সময়ে তাবলীগ জামাতে তানভীর কবিরের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং তাকে বাসায় নিয়ে যায়। ২০০৫ সালে তানভীর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং ৭/৮ মাস লেখাপড়া করেন।

পরবর্তীতে ২০০৬ সালে চট্টগ্রামে মেরিন একাডেমিতে ভর্তি হয়ে ২০০৭ সালে পড়াশোনা শেষ করেন তিনি। মেরিন একাডেমি থেকে পাস করার পর ২০১০ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের বাংলার কাকলিসহ বিভিন্ন জাহাজে প্রকৌশলী হিসেবে চাকরি করেন।

র‌্যাব বলছে, ২০১৫ সালের জুলাইয়ে তামিম দ্বারী আইএমটিএতে ভর্তি হন। সেখানে পড়াশোনা করার সময় তামিম চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে মহাখালী, গুলশান, বনানী ও উত্তরায় বৈঠক করেন তিনি।

গত বছরের আগস্টে নারায়ণগঞ্জে পুলিশের অভিযানে তামিম চৌধুরী নিহত হলে বসুন্ধরা-৪ জাহাজে যোগ দেন দ্বারী এবং একই বছরের নভেম্বরে চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঘর ছেড়ে অন্য সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে শুরু করেন তিনি।

অন্যদিকে আটক মোস্তফা মজুমদার কুমিল্লা পলিটেকনিক থেকে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করে ২০০৭ সালে পাওয়ার গ্রিড অব কোম্পানি বাংলাদেশে উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেন। কর্মজীবনে এসে একই মনোভাবাপন্নদের সংস্পর্শে এসে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

আটক অপরজন কামরুল হাসানের বাবা বিডিআর বিদ্রোহের অভিযোগে ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত। ২০০৬ সালে কুমিল্লার একটি মাদরাসায় লেখাপড়ার সময় জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট হন তিনি। ২০১৪ সালে তামিম চৌধুরী ও তামিম দ্বারীর মাধ্যমে জিহাদে উদ্বুদ্ধ হন তিনি। ২০১৬ সালের নভেম্বরে ঘর ছাড়েন কামরুল।

 

  (ঢাকারনিউজ২৪.কম/এনএম ০৩.৩২পিএম/২৮//২০১৭ইং)