• ঢাকা
  • রবিবার, ২৬ মে ২০২৪, ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন

সনজীদা খাতুনের জন্মদিন উদযাপিত


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৫, ২০১৭, ১১:০৫ AM / ৩৫
সনজীদা খাতুনের জন্মদিন উদযাপিত

ঢাকারনিউজ২৪.কম:

পঁচাশিতম জন্মদিনে প্রিয় মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হলেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব সনজীদা খাতুন।

রাজধানীর ধানমন্ডির বাসায় মঙ্গলবার জন্মদিনে ছিল না আড়ম্বর, ছিল না বিশেষ আয়োজনও। তবুও তার অনুজ সাংস্কৃতিক কর্মীরা তো ঠিক ছুটে গেলেন ‘প্রিয় মিনু আপা’র বাসায়।

বার্ধ্যকের কারণে আগের মতো ছুটতে পারেন না সনজীদা খাতুন, তার জন্য আক্ষেপের সীমা নেই। এই তো জন্মদিনের আগের দিন বলছিলেন, আগের মতো শক্তি থাকলে, গান নিয়ে ছুটতেন গ্রামের মানুষের কাছে। তিনি ছুটতে পারেন না, তাই তো সবাই তার কাছে এসেছিলেন।

মঙ্গলবার সকাল থেকে আসছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। সবাই আসছে পা ছুঁয়ে আর্শিবাদ নিলেন তার কাছ থেকে।

ভোরে পারিবারিকভাবে শুরু হয় তার জন্মদিনের আনুষ্ঠানিকতা। গানের সুর ভালোবাসার কথা হয়ে উঠে প্রিয়জনের কণ্ঠে। লাইসা আহমেদ লিসা, পার্থ তানভীর নভেদ, আব্দুল ওয়াদুদ সবাই গেয়ে উঠলেন, ‘আনন্দধ্বনি জাগাও গগনে। কে আছ জাগিয়া পুরবে চাহিয়া, বলো ‘উঠ উঠ’ সঘনে গভীরনিদ্রামগনে।’

আব্দুল ওয়াদুদ গাইলেন ‘তুমি রবে নীরবে’। প্রদীপ কুমার আগরওয়াল পড়ে শোনালেন ভবানীপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কবিতা ‘বাংলাটা ঠিক আসে না’। এরই ফাঁকে ভক্তের অনুরোধ মেটাতে সনজীদা খাতুন পাঠ করলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘প্রশ্ন’ কবিতাটি। সুতপা সাহা গাইলেন ‘তোমার দুয়ার খোলার ধ্বনি ওই গো বাজে হৃদয়মাঝে’।
সাতসকালে চলে এসেছিলেন বড় বোন মাহমুদা, খানিক পরই এলেন ফাহমিদা খাতুন।

ফাহমিদা খাতুন বললেন, ‘জন্মদিনে তিন বোনের দেখা হয়। ভালো লাগে। এমনিতে আমাদের মাঝে মধ্যে দেখা হয়, কথা হয়। তবে জন্মদিনের আনন্দটা তো অন্যরকম। না এলে ভালো লাগে না।’

এসেছিলেন ছায়ানটের শিল্পী, সদস্য ও শিক্ষকরা। নালন্দার শিশু শিক্ষার্থীরা এসেছে বিকালে। প্রিয় দাদুকে ঘিরে তাদের হাজারটা কথা, নানান আবদার। হাসিমুখে সব শুনেছেন পঁচাশি বছরের ‘তরুণ’ সনজীদা খাতুন। এর মাঝে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, চলচ্চিত্রকার মানজারে হাসীন মুরাদ।

 

  (ঢাকারনিউজ২৪.কম/এনএম /­১১.০৪ এএম/০৫//২০১৭ইং)