• ঢাকা
  • শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ১১:০১ পূর্বাহ্ন

সংসদে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন শামীম ওসমান


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০১৮, ৯:১৮ PM / ৬৩
সংসদে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন শামীম ওসমান

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : গণমাধ্যমের সংবাদে অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে। এর প্রতিকার চেয়ে এক বছর আগে সংসদের এ-সংক্রাস্ত কমিটিতে নোটিস দেন নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী  দলীয় এমপি এ কে এম শামীম ওসমান।

দীর্ঘ এক বছরেও ওই নোটিসের বিষয়ে প্রতিকার না পেয়ে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

পরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জানান, নোটিসগুলো বিশেষ অধিকার সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে বিবেচনাধীন রয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী এমপিদের অধিকার ক্ষুণ্ন সংক্রান্ত্র একটি কমিটি আছে। কোনো এমপির অধিকার ক্ষুণ্ন হলে তিনি প্রতিকার চেয়ে ওই কমিটিতে নোটিস দিতে পারেন। ওই কমিটির সভাপতি পদাধিকার বলে স্পিকার থাকেন।

সংসদে শামীম ওসমান বলেন, ‘এক বছর আগে কিছু পত্রিকার খবরের কারণে আমি একটা অধিকার ক্ষুণ্নের নোটিস দিয়েছিলাম। এক বছর পেরিয়ে গেছে। আমি তার কোনো রেজাল্ট পাইনি।’

তিনি বলেন, ‘যে সমস্ত পত্রিকাগুলো আমাদের বিরুদ্ধে লিখছে, বিশেষ করে যে পত্রিকারা ১/১১ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল অথবা নবীকে নিয়ে ব্যঙ্গ করেছিল কিংবা আমার নেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দাঁড় করেছিল। তারা নতুন করে আবারও সংসদ সদস্যদের চরিত্রহরণ শুরু করেছে।’

শামীম ওসমান বলেন, ‘আমার এলাকাতে আমার ব্যাপারে লিখতে লিখতে ক্লান্ত হয়ে গেছে। এমনকি এখন ওই পত্রিকার সম্পাদক খোদ নিজে গিয়ে হাজির হচ্ছেন, বক্তব্য দিচ্ছেন।’

স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘যদি দেখা যায় একজন এমপি ন্যায়বিচার চেয়ে অধিকার ক্ষুণ্নের নোটিস দেয়ার এক বছর পরেও কোনো রেজাল্ট নেই। তাহলে আমরা কোথায় যাব?’

শামীম ওসমান আরও বলেন, ‘দেশে সৎ সাংবাদিকের সংখ্যা ৯৯ শতাংশ আর অসৎ সাংবাদিকের সংখ্যা মাত্র এক শতাংশ। অসৎ সাংবাদিকরা যারা আছেন, যারা সংবাদ মাধ্যমকে অন্য কিছু হিসেবে বেছে নিয়েছেন, তাদের যারা সংবাদপত্রকে বা সংবাদ মাধ্যমকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পরিবর্তন করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চান। তারা বার বার ক্ষত-বিক্ষত করবে। গত কিছুদিন ধরে বিভিন্ন আকার ইঙ্গিতে বিভিন্ন ধরনের নিউজের মাধ্যমে দেশকে অশান্ত করার ষ্টো করছে। তাদের বিরুদ্ধে আমি লড়াই করে অভ্যস্ত। আমি সত্যের সঙ্গে আছি। এ ধরনের নোটিস কেউ দেয় না, আমি দিয়েছি।’

এর জবাবে স্পিকার বলেন, ‘আপনার নোটিসটি গ্রহণ করা হয়েছিল এবং সেই সঙ্গে আরও কয়েকজন এমপির নোটিস গৃহিত হয়েছে। সেগুলো বিশেষ অধিকার কমিটিতে পেন্ডিং আছে এবং নোটিসগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

এরইমধ্যে আরও কয়েকটি বিশেষ অধিকার ক্ষুণ্নের নোটিস এসেছে, সেগুলোও বিবেচনাধীন আছে। সে ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানান তিনি।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/কেএস/৯:০৫পিএম/১৫/২/২০১৮ইং)