• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১২:০১ পূর্বাহ্ন

শৈশব বনাম যৌবনের ক্ষুধা : সচেতন হতে হবে অভিভাবকদের


প্রকাশের সময় : মার্চ ১০, ২০১৮, ৬:৩৪ PM / ৪২
শৈশব বনাম যৌবনের ক্ষুধা : সচেতন হতে হবে অভিভাবকদের

ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ : রণির প্রচণ্ড খিদে পেয়েছে। তার পকেটে যথেষ্ট টাকা রয়েছে। তার সামনে ৪/৫ টা রেস্টুরেন্ট থেকে বিভিন্ন মুখরোচক খাবারের সুঘ্রাণ আসছে। তার এই মুহুর্তেই খাবার খেতে হবে। কিন্তু, খাবার দোকানে গিয়ে দেখে খাবারগুলো “এইজ রেস্ট্রিক্টেড”! অর্থাৎ এই খাবার সে খেতে পারবে না। রণি বাসা খুব কাছেই। ইচ্ছে হলে সে বাসায় গিয়ে খিদা নিবারণ করবে সেই উপায়ই নাই। কারণ, রণির “খাবারের বয়স হয় নি”!!!! রণির বয়স এখন মাত্র ১৯ তার প্রচন্ড ক্ষুধা লাগলেও সে ৩০ বছর বয়সী না হলে খাওয়ার অনুমতি পাবে না!! মাকে গিয়ে যদি বলে “মা ক্ষিধা লেগেছে, খাবার দাও” তাইলে আর রক্ষা নেই। বাসার সবাই অকথ্য ভাষায় কথা বলবে!!!

উপরের গল্পটা উদ্ভট লাগছে না? আপনি গল্পের সব চরিত্র ঠিক রেখে ” খাবার” এর স্থলে “যৌনতা” বসিয়ে নিন।
সমস্যা ধরতে পেরেছেন তো!!

খারাপ শোনালেও কিছু সত্যি কথা বলি-
বাংলাদেশের মেয়েদের যৌন চেতনা মূলত ৩৫ পর্যন্ত থাকে। ৩০ এর পরে তো সন্তান নেয়া রিস্কি। প্রতিষ্ঠিত মানে মাষ্টার্স শেষ করে চাকরি করা মেয়ের বয়স স্বাভাবিক ভাবেই ২৮/৩০ হয়ে যায়। ঐ বয়সী একটা মেয়ে বিয়ে করলে সে জীবনে মাত্র ৫/৬ বছর (৩৫ পর্যন্ত) বৈধভাবে সেক্স করার সুযোগ পাবে। এরপরেও সে করবে কিন্তু, তাতে তার কোন আগ্রহ থাকে না।

পরকীয়ার প্রতি পুরুষের টানের এটাও অন্যতম কারণ। স্ত্রী সহবাসের অনীহা দেখায় (এক্ষেত্রে পুরুষও ৫০% দায়ী) যার ফলে পুরুষ অন্য নারী নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে। পর্ণে আসক্তি চলে আসে। আর আজকাল পুরুষের হাতে টাকা থাকলে পরকীয়া করা কোন ব্যাপারই না।
এই সমাজে যেহেতু ২/৩/৪ টি বিয়েকে খারাপ চোখে দেখা হয় সেহেতু পুরুষ বিকল্প পথে যায়। দীর্ঘদিন বন্ধু বান্ধব অফিস কলিগ ও অন্যান্য লোকদের ঘটনা দেখে এটা মনে হল।
বাংলাদেশের আবহাওয়ায় ছেলে মেয়েদের যৌন চেতনা আসে ১৩/১৪ বছর বয়স থেকে। ১৭/১৮ বছর বয়সে তা তুঙে উঠে। কিন্তু, ছেলে মেয়েরা দেখে তাদের বিয়ে হতে অনেক দেরি, বৈধ ভাবে সেক্স করার কোন সুযোগ নেই। তাই বাধ্য হয়ে তারা বিকল্প পন্থা খোঁজে।

প্রথম বিকল্প পন্থা হল হস্ত মৈথুন। এই কাজ করে নাই এমন মানুষ খুব কমই আছে। এটা কবীরা গোনাহ্ জানার পরেও প্রায় সবাই ই করে থাকে। অন্যান্য গোনাহ্ থেকে বাচা অনেক সহজ হলেও এই গোনাহ্ থেকে বাচা অনেক অনেক কঠিন। ফ্রেন্ড ফলোয়ার লিস্টের কেউ দাবী করতে পারবে না যে আমি জীবনে এই গোনাহ্ করি নাই।

দ্বিতীয় বিকল্প পন্থা হল তথাকথিত প্রেম-ভালোবাসা। একটা ছেলে জানে ৩০ বছর বয়সের আগে ইদানীং শিক্ষিতদের অনেকেরই বিয়ে হবে না। এই বয়সে তার মেয়েদেরকে ভাল লাগে। প্রেম পিরিতি ভালোবাসা কারো সাথে হলে তাদের টার্গেট থাকে বিছানায় যাওয়া। বিছানায় যেতে না পারলে যতটুকু সম্ভব কাছে আসার। এই গোণাহ টাও কবিরা গোনাহ্ । এই গোনাহের জন্য বাবা মাও দায়ী হবেন। আমরা অভিভাবকরা সব সময় খেয়াল রাখি বাচ্চাদের কখন ক্ষিধা লাগবে। কিন্তু, আমরা শুধু ভাতের ক্ষিধার দিকেই খেয়াল করি। বাচ্চা না চাইলেও জোর করে লেখাপড়া করাই। কিন্তু, ছেলেমেয়ে নির্দিষ্ট বয়সের হলে যে যৌন ক্ষুধা লাগে তা মেটানোর চেষ্টা করি না। বাধ্য হয়ে সন্তান ভিন্ন পথে এগোয়।

আমার খুব ইচ্ছা আমার ছেলেদেরকে ১৮/২০ বছর বয়সে বিয়ে দিব এবং তাদেরকে ১৩/১৪ বছর বয়স থেকেই এই কথা জানিয়ে দিব যাতে তাদের ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত অপেক্ষার প্রহর গুণতে না হয়।

লেখক : সাংবাদিক 

 
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/৬:৩২পিএম/১০/৩/২০১৮ইং)