• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৪ পূর্বাহ্ন

শিবগঞ্জে অবৈধভাবে পুকুর খনন বন্ধের আবেদনকারী নারীকে লাঞ্চিত


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৬, ২০২৪, ১১:৩৯ PM / ৭৩
শিবগঞ্জে অবৈধভাবে পুকুর খনন বন্ধের আবেদনকারী নারীকে লাঞ্চিত

মোঃ আমিনুল হক, আঞ্চলিক প্রতিনিধি (চাঁপাইনবাবগঞ্জ): সম্প্রতিক চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের শিকারপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে অবৈধভাবে পুকুর খনন বন্ধের জন্য আবেদনকারী এক নারীকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে । অবৈধভাবে পুকুর খননকারী মোঃ আজিজুল হকের বিরুদ্ধে ।আবেদনকারী ও লাঞ্চিত হওয়া নারী মোবারকপুর ইউনিয়নের শিকারপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের আজমুল হকের স্ত্রী মোসা,সায়েরা বেগম । আর লাঞ্চিতকারী অবৈধভাবে পুকুর খননকারী একুই এলাকার মৃত,আবেসন মুন্নার ছেলে মোঃ আজিজুল হক । অবৈধভাবে পুকুর খনন সরেজমিনে জানা গেছে ,শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের শিকারপুর মৌজায় ১১৯৯ও ১২০০দাগের প্রায় সাডে ৫ বিঘা সমত জমিতে আমবাগান কেটে ফেলে পুকুর খনন করার জন্য ড্রেজার নিয়ে আসেন । সম্পতি ১৩ ই মার্চ দুপুরে স্থানীয়রা উপজেলা সহকারি কমিশনার [ভুমি] কে অবহিত করিলে ওইদিন বিকেলে ৪টার দিকে উপজেলা সহকারি কমিশনার [ ভুমি ] ঘটনাস্থলে আসেন এবং ড্রেজারের যন্ত্রাংশ নিয়ে যান । এরপর থেকে আবেদনকারী সায়েরা বেগমের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আজিজুল হক সহ তার অনুসারিরা ওই নারী ও তাঁর ছেলেকে বেধড়ক মার ধর করেন । এছাড়াওই নারীসহ স্থানীয়দের বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন আজিজুর হক ও তার অনুসারিরা । অবৈধভাবে পুকুর খঝনন অনুসন্ধানে জানা গেছে ,উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের শিকারপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামটি ঘনবসতি এলাকায় । এই এলাকায় মধ্যস্থানে একটি ছোট প্রায় সোয়া ১ বিঘা পুকুর রয়েছে । এবং সেই পুকুরের চারি দিকে রয়েছে স্থানীয়দের ঘর বাড়ি ।ঐ পুকুরটি সংস্কারের নাম করে আরোও প্রায় সাড়ে ৫ বিঘা সমতল আম বাগানি জমি কেটে পুকুর বাড়ানোর প্রক্রিয়া করছে । ফলে পুকুরটি বৃদ্ধি হলে সেখানকার বসত বাড়িঘরগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও এলাকাবাসীর দাবি। তবে এই পুকুর টি আগামী ১০ বছরের জন্য আজিজুল হক সহ চাকলা গ্রামের জুয়েল আলী , চৌডালার ডিিলম আলি,ও চাকলার সোফিকুল ইসলাম এই ৪ জন প্রায় ২৯ লাপখ টাকায় টেন্ডার নিয়েছে বলেও জানা গেছে । এরপর প্রেক্ষিতে ইতি মধ্যে আজিজুল হক পুকুর খননের জন্য রাস্তা পরিস্কার করার লক্ষ্যে ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশের সাহায্য নিয়ে রাস্তার স্থাপনার সরিয়ে ফেলাকালে একটি শিশু ফোনে ভিডিও ধারণ করে । পরে শিবগঞ্জ থানার এসআই মোঃ সোহেল রানা ওই শিশুকে চরথাপ্পর মারে এবং মোবাইল ফোনটি ছেলেটির কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন । এদিকে ,লাঞ্চিত হওয়া ওই নারী অভিয়োগ করে বলেন ,আমরা এই এলাকায় প্রায় ৫০/৫৫টি বাড়ি প্রায় ২০ বছর থেকে বসবাস করছি । দীর্ঘদিন বসবাস করার পর হঠাৎ করে এখানে নতুন করে সমতল বাগানি জমির আম গাছ কেটে ফেলে জমি কেটে পুকুর করতে যাচ্ছে তারা । এখানে চলাচলের অনেক সমস্যা হবে। তাই আমি এলাকাবাসির স্বার্থে উপজেলা সহকারি কমিশনার [ভুমি]র বরাবর আবেদন করেছিলাম যেনো এখানে অবৈধভাবে পুকুর খনন না করতে পারে । সেই সুবাদে আজিজুল হকের স্বার্থে ব্যঘাত হওয়ায় আমাকে ও আমার ছেলেকে মারধর ৃকরেছে । এছাড়া স্থানীয় বসবাসকারীরা একই অভিয়োগ করেন ।স্থানীয়রা জানান আজিজুল হক অবৈধভাবে পুকুর খননের জন্য রাস্তা পরিস্কার করার লক্ষ্যে ৯৯৯এ কল দিয়ে পুলিশের সাহায্য নিয়ে রাস্তার স্থাপনা সরিয়ে ফেলাকালে ডালিম নামে সপ্তম শ্রেনি পড়-য়া একটি শিশু ফোনে ভিডিও ধারন করে । পরে শিবগঞ্জ থানার এসআই সোহেল রানা ওই শিশুটিকে চরথাপ্পর মারে এবং ফোনটি সোহেল এসআই ছিনিয়ে কেড়ে নেয় ।শিশুটি ও কাঁদতে কাঁদতে এই অভিযোগ করে । তবে ,এসআই মোঃ সোহেল রানার দাবি আমি ওই শিশুকে মারধর করিনি বরং ফোনটি নিয়ে প্রকৃত মালিককে না পেয়ে থানায় নিয়ে# আসি । এবং জিডি করেছি । তবে স্থানীয়দের অভিযোগ থানা পুলিশ অবৈধভাবে পুকুর খনন কাজের অনুসারিদের সাহায্য করিতেছে । ও সেখানকার পুকুর খননের বিরোদ্ধে অভিযোগ করিদের পুলিশ ভয়ভীতি দেখায় । এ ব্যপারে আজিজুল হক বলেন আমি থানায় অভিযোগ করেছি ।আমি তাদের মারধর করিনি । পুকুরটি ডেন্ডার নিয়েছি পুকুর খনন করবো । যেই বাধা দেয় না কেনো তার মোকাবেলা করা হবে । এ ব্যপারে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ [তদন্ত] সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ জানান কোনো পুলিশ সদস্য শিশু কিংবা কোনো ব্যক্তি মারধর করতে পারবে না । শিশুকে মারার অভিযোগটি কেনো করেছে তা আমার জানা নাই । বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে । শিবগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার [ভুমি] মোঃ জুবায়ের হোসেন জানান উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের শিকারপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে পুকুর খনন করতে নিষেধ করা হয়েছে । এবং একটি ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দেয়া হয়েছে । যদি আবারো ওখানে পুকুর খনন করতে কেউ যায় , তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে । এছাড়া মারামারির ঘটনাটি আইনি বিষয় । এখানে আমার কোনোমন্তব্যূ নাই ।