• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন

লাখ টাকার বেশি ডিপোজিট যাদের তারা যথেষ্ট সম্পদশালী : অর্থমন্ত্রী


প্রকাশের সময় : জুন ২, ২০১৭, ৭:৪৩ PM / ৪৩
লাখ টাকার বেশি ডিপোজিট যাদের তারা যথেষ্ট সম্পদশালী : অর্থমন্ত্রী

 
ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন,মধ্যবিত্ত নয়, সম্পদশালীদের কাছ থেকে কর আদায়ের জন্য ব্যাংকিং লেনদেনে আবগারি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। শুক্রবার বিকালে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন,‘ব্যাংকের ডিপোজিটের উপর কর বাড়ানো হয়েছে। এটা নিয়ে আগেও কিছু কথাবার্তা হয়েছে। সেসব বিবেচনায় নিয়ে যাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এক লাখ টাকার বেশি থাকবে শুধু তাদের ওপর এটা প্রযোজ্য করেছি।’
তিনি বলেন, ‘বড় লোকের ডেফিনেশন দেয়া খুব মশকিল। আমার মনে হয় এক লাখ ডিপোজিট যার থাকবে তাকে সম্পূর্ণরূপে ভারমুক্ত করা যথেষ্ট। তার ওপরে যারা আছেন তারা আমাদের দেশের তুলনায় যথেষ্ট সম্পদশালী বলেই মনে হয়। সুতরাং বাড়তি ব্যয় বহন করতে পারবেন।’
বছরের যেকোনো সময় ব্যাংক হিসাবে এক লাখ টাকা ডেবিট কিংবা ক্রেডিট হলে এতদিন ৫০০ টাকা আবগারি শুল্ক কাটা হতো। নতুন অর্থবছরের বাজেটে শুল্ক ৮০০ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, এতদিন বছরের যেকোনো সময় অ্যাকাউন্টে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ডেবিট ও ক্রেডিটের ক্ষেত্রে আবগারি শুল্ক আরোপ করা হতো না। এখন এক লাখ টাকার অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে।
সংবাদ সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেন এক লাখ টাকার ঊর্ধ্বে হতে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিদ্যমান ৫০০ টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা, ১০ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে হতে এককোটি টাকা পর্যন্ত এক হাজার ৫০০ টাকার পরিবর্তে দুই হাজার ৫০০ টাকা, এক কোটি টাকার ঊর্ধ্বে হতে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত সাত হাজার ৫০০ টাকারপরিবর্তে ১২ হাজার টাকা এবং পাঁচ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে বিদ্যমান ১৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ২৫ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের আয়ের অর্থ দেশে পাঠাতে বর্তমানে ব্যাংক ফি কেটে নেওয়া হয়। আগামীতে এই ব্যাংক ফিতে ভর্তুকি দেবে সরকার।
তিনি বলেন, রেমিট্যান্স আগের তুলনায় কমেছে এটা সত্য। তবে বড় ধরনের কম এখানে দেখছি না। সরকারি ব্যতীত অন্য মাধ্যমে যে রেমিট্যান্স আসে; সেটা কিন্তু কিছুটা বেড়েছে।
মুহিত বলেন, সরকারিভাবে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির জন্য সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে রেমিট্যান্সের ব্যাংক ফিতে ভর্তুকি। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের আয়ের অর্থ দেশে পাঠাতে বর্তমানে ব্যাংক ফি কাটা হয়। ওই খরচে ভর্তুকি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, রেমিট্যান্সের পাশাপাশি রপ্তানিও কম হচ্ছে এটা সত্য। তবে স্থায়ী প্রবৃদ্ধি কিন্তু কমেনি। সবমিলিয়ে আমি নেতিবাচক কিছু দেখছি না।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/৭:৪২পিএম/২/৬/২০১৭ইং)