• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৯:১৪ অপরাহ্ন

রেলওয়ের নতুন মহাপরিচালক কি পারবেন?


প্রকাশের সময় : মার্চ ১৩, ২০২৪, ১০:৫৪ PM / ৮৮
রেলওয়ের নতুন মহাপরিচালক কি পারবেন?

ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশ রেলওয়েতে গত ২৮ মাসে ৩ জন মহাপরিচালক পরিবর্তন হলেও এখনো অদৃশ্য কারণে “রেলওয়ে ক্যাডার বহির্ভূত কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা—২০২০” সংশোধন না হওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মনির।

আজ বাংলাদেশ রেলওয়ের নতুন মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় সরদার সাহাদাত আলীকে শুভেচ্ছা জানালেও তিনি তার মেয়াদের ৭ মাসে নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সংশোধনে সফল হতে পারবেন কিনা এ ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন মনিরুজ্জামান মনির।

১৩ মার্চ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন, নিয়োগ বিধিমালা—২০২০ রেলওয়ে পোষ্য এবং শ্রমিক—কর্মচারীরা নীতিগত ভাবে মেনে না নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের সকল ট্রেড ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি আন্দোলন—সংগ্রাম গড়ে তোলার ফলে গত ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ হালনাগাদ/সংশোধন করণের জন্য কমিটি গঠিত হয়। কিন্তু গত ২৮ মাসেও কমিটি কর্তৃক নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সংশোধন না করেই গায়েবী বিধিমালায় সম্পূর্ণ অবৈধভাবে জনবল নিয়োগ কার্যক্রমের মাধ্যমে রেলওয়ে পোষ্যদের অধিকার বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই ২৮ মাসে ৩ জন মহাপরিচালক পরিবর্তন হলেও তারা একটি দুর্নীতিবাজ চক্রের প্রভাবে নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করতে পারেনি। আমরা আশা করি নতুন মহাপরিচালক শ্রমিক—কর্মচারীর ও রেলপোষ্যদের স্বার্থে দ্রুততার সাথে নিয়োগ বিধিমালা সংশোধনে কার্যকরী পদক্ষেপ নিবেন।

মনিরুজ্জামান মনির আরো বলেন, নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সংশোধন প্রক্রিয়া ঝুলিয়ে রেখে একের পর এক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করে রেলওয়েতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার ৩৪২ জন জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগ বিধিমালা—২০২০ সংশোধন না করে অবৈধ জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বৈধতা দিতে প্রতিটি বিজ্ঞপ্তিতে “নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান বিধি—বিধান ও কোটা পদ্ধতি এবং পরবর্তীতে এ সংক্রান্ত বিধি—বিধানে কোন সংশোধন হলে তা অনুসরণযোগ্য হবে” বলে একটি শর্ত যুক্ত করেছে। এই শর্তটি আসলে একটি শুভঙ্করের ফাঁকি। কর্তৃপক্ষের শর্ত অনুযায়ী রেলওয়ে কর্মচারীদের পোষ্যদের সংজ্ঞা সংশোধন করে চাকরিতে আবেদনের ক্ষেত্রে ২০ বছরের স্থানে যদি পূর্বের ন্যায় ১৫ বছর অথবা ১০ বছর করা হয় এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হয় তাহলে কি বর্তমানে যারা চাকরিতে আবেদনের সুযোগ পাচ্ছেন না বাংলাদেশ রেলওয়ে কি তখন তাদেরকে আবেদনের সুযোগ করে দিবে? বাস্তবতা হলো সেটি সম্ভব নয়। ২৮ মাসেও নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন না করে যে জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে এটি মূলত অসাধু কর্মকর্তাদের নিয়োগ বাণিজ্যের অংশ।