• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১২:২৭ অপরাহ্ন

মৃত্যুর ১২ বছর পর বিএনপিকর্মীর নামে চার্জসীট


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ১৬, ২০১৮, ১:১৪ AM / ৩৪
মৃত্যুর ১২ বছর পর বিএনপিকর্মীর নামে চার্জসীট

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : একের পর এক গায়েবী মামলা দায়েরের পর এবার শাহ জামাল (৩২) নামে এক বিএনপি কর্মীর মৃত্যুর ১২ বছর পর পুলিশ চার্জসীট দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি কর্মী শাহ জামাল মারা যান ২০০৪ সালের ৮ নভেম্বর। তার মৃত্যুর ১২ বছর ২০১৬ সালে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জসীট) দাখির করেন। মৃত শাহ জামালের ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তিনি কালীগঞ্জ-জীবননগর সড়কের খালিশপুর নামক স্থানে নাশকতা মূলক কার্যকালাপে যুক্ত ছিলেন। পাশাপাশি গাড়ি ভাংচুর ও একাধিক ব্যক্তিকে মারধরও করেন। বোমা হামলার ঘটনাও ঘটে ওই স্থানে। ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর ঝিনাইদহের মহেশপুর থানায় দায়ের করা একটি মামলার বর্ননায় এ সব কথা লিখেছে পুলিশ। মামলাটি এখনও বিচারাধীন। মামলাটি বিচারকালে শাহ জামালের মৃত্যুর কথা প্রকাশ পায়। নিহত শাহ জামাল মহেশপুর উপজেলার জলিলপুর গ্রামের মৃত জহুরুল হক মন্ডলের পুত্র। জানা গেছে, মামলা চলাকালে আসামী পক্ষের নিকট থেকে বিষয়টি অবহিত হয়ে আদালত শাহ জামালের অবস্থান নিশ্চিত করতে মহেশপুর থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। আদালতের এই নির্দেশ পেয়ে পুলিশ তদন্ত করেন এবং রির্পোট দেন শাহ জামাল মৃত্যুবরণ করেছেন। শাহ জামালের ভাই শাহ কামাল জানান, তারা ইতিমধ্যে পৌরসভা থেকে একটি প্রত্যয়নপত্র নিয়ে পুলিশকে দিয়েছেন। তিনি বলেন, পুলিশ মামলা দায়েরের পর যখন তার ভাইকে আটকের জন্য বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিলেন, তখনই জানিয়েছিলেন তার ভাই মারা গেছেন। এরপরও তাকে ছাড়া হয়নি, তার নামে চার্জসীট দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে ২০১৩ সালের ওই ঘটনায় মহেশপুর থানার তৎকালীন এস আই মোঃ আকিনুর রহমান ১৯৩ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর ১৫ তারিখ ২৭/১১/২০১৩ ইংরেজি। মামলায় এক নম্বর আসামী করা হয় বিএনপি দলীয় সাবেক সাংসদ শহিদুল ইসলামকে। যিনি পরবর্তীতে মৃত্যুবরণ করেছেন। ওই মামলায় ১২৭ নম্বর আসামী করা হয় শাহ জামালকে। দুইজন কর্মকর্তা দীর্ঘ ১৮ মাস তদন্ত করে চার্জসীট প্রস্তুত করেন। মামলায় ১৯২ জনকে এজাহারে আসামী করা হলেও তদন্ত শেষে ২১৯ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জসীট দেওয়া হয়। আসামী পক্ষের আইনজীবী কাজী একরামুল আলম বলেন, প্রশ্ন হচ্ছে পুলিশ তাহলে কি তদন্ত করলো, একজন মৃত্যু ব্যক্তিকে কিভাবে অভিযুক্ত করলেন। ওই তদন্তকারী কর্মকর্তার আইনানুগ বিচার দাবি করেন আইনজীবী কাজী একরামুল আলম। বিষয়টি নিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ খবির হোসেন জানান, মামলার প্রথম তদন্ত সৈয়দ আলী করেছিলেন। তিনি যখন মামলারটির দ্বিতীয় কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর তার উপর চাপ ছিল দ্রুত চার্জসীট দেওয়ার। যে কারনে এই ভুল হয়ে যেতে পারে।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১:১০এএম/১৬/১০/২০১৮ইং)