• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন

মুন্সীগঞ্জে জাতীয় পতাকার অবমাননা


প্রকাশের সময় : মার্চ ১৬, ২০১৮, ১১:২০ PM / ৪১
মুন্সীগঞ্জে জাতীয় পতাকার অবমাননা

লিটন মাহমুদ, মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জ শহর খুব একটা বড় শহর না। পুরো শহর ঘুরে দেখা যায় মাত্র ৩০টাকা দিয়ে রিক্সা যোগে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) শহর ঘুরে দেখা যায় আদর্শ মাদ্রাসাটিতে দিনব্যাপী কোন পতাকাই উত্তোলন করা হয়নি। এই খবর পেয়ে করণিক ইব্রাহীম খলিল বিকাল ৫টায় পতাকা উত্তোলন করে মোবাইলের মাধ্যমে ছবি তুলে রেখেছেন। যাতে কোন অভিযোগ করতে না পারে। অথচ তারা দিনব্যাপী জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছে।

আজ বাংলাদেশ সরকার রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে। সেখানে রাষ্ট্রের সাথে সাথে শোক তো পালন করলোই না উল্টো জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে সেখানে তাদের প্রতিষ্ঠানে আজকে পতাকা ছাড়া। জামায়াত পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে তা যেনো খুব একটা বড় কোন অপরাধ নয়! মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাহাবুব সদ্য জেল হতে মুক্ত হয়ে কারো ফোন রিসিভ করছেন না, রিসিভ না করাটা এক ধরণের সাহসিকতাও বটে। কেননা তিনি সাংবাদিক এবং প্রশাসনিক কোন লোকদেরই তোয়াজ করেন না এমনও হাজার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

জনৈক ব্যক্তি নাম না বলা শর্তে বলেন অধ্যক্ষ মাহাবুব এখনও রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী কাজে সবসময় নিয়োজিত থাকেন। কারণ আগামী নির্বাচনে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় আসবে এমন ফাগুনের আগুন তাদেরকে অন্ধ করে ফেলেছে। কথায় কথায় মুন্সীগঞ্জ শহরের একজন সূফী মানুষ হিসেবে পরিচয় দিয়ে চলে। গ্রেফতারের পূর্বে তিনি সরকার বিরোধী কাজে মুন্সীগঞ্জ শহরের বাংলাবাজার, চিতলিয়া, শিলই, মাক্কহাটি সহ চর অঞ্চল জামায়াতের সাংগঠনিক কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। আধারা, চিতলীয়া, চরডুমুরিয়া বাজারেও বিভিন্ন জামায়াতের নেতাদের সাথে তাকে দেখা গেছে। মাদ্রাসা থেকে তাকে অপসারণ করা কারোই সাধ্য নাই। তিনি মাদ্রাসায় কি করলেন তার দেখার জন্য কমিটি আছে। অন্য করোর কিছুই করার নাই, বলারও নাই বলে জানান তিনি।

এই বিষয় আদর্শ মাদ্রাসার করণিক ইব্রাহিমকে একাধিক বার সেল ফোনে (০১৯১১০১৯৬৫৪) ফোন করা হলে রিসিভ করেননি। কয়েকবার ফোন দেওয়ার পরে ফোন রিসিভ করে বলেন, কোন কথা খাকলে অফিসে আসেন কথা বলি। পতাকার বিষয় কথা উঠলেই তিনি ফোন কেটে দেন।

মুন্সীগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে পতাকা বরাবরের মতো অন্য দিনের ন্যায় থাকাতে বিষয়টি কেনো জানি মন্দ ভাব দেখা মিলে। ইতিপূর্বে আরো একবার গতো মাসেই সারারাত পতাকা উড়ছে, খবরও প্রকাশ হয়। আজ রাষ্ট্রীয় শোক তাও ভুলে গেলেন আমাদের মুন্সীগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমী কর্মরত কর্মকর্তা? কিন্তু কেন?

এমন বিষয় জানার জন্য জেলা শিল্পকলা একাডেমী ইনচার্জ মোকলেছা হিলালির সেল ফোনে ফোন দিলে তিনি জানান, পতাকার বিষয় আমার কোন খেয়াল ছিলো না কাজের চাপে। আমার অফিসের লোকটি যদি এমন ভুল করে থাকে তার বিষয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মুন্সীগঞ্জ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে জাতীয় পতাকা নেই আজ এমনও দেখা যায় পতাকার লাঠি দন্ডায়মান আছে পতাকা নেই এমন। কেনো নেই এমন হলো জানার জন্যে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফরিদুল ইসলামকে সেল ফোনে জানার জন্যে কল দেওয়া হলে তিনি জানান, পতাকা টানাতে একটু সমস্যা সৃষ্টি হওয়াতে ইঞ্জিনিয়ারকে জানানো হয়েছে আগামী কয়েকদিনেই সমস্যা সমাধান করে পতাকা নিয়মিত ভাবেই উত্তোলন করা হবে। অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, আমি মুন্সীগঞ্জ আসার পর হতে আমার অফিসের পতাকা উঠানো হয় না।

এমন বিষয় মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা জানান,, পতাকা অবমাননা একটা জঘন্য অপরাধ। কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে করে থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১১:১৬পিএম/১৬/৩/২০১৮ইং)