ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ এর কেন্দ্রীয় ও খুলনা জেলা কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন খান তারেক আকিজ। সোমবার(১১ জুন) দুপুরে তিনি এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পদত্যাগ পত্রে খান তারেক আকিজ লিখেন- ”মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ খুলনা জেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতির পদ থেকে সজ্ঞানে অব্যাহতি নিলাম। একান্ত ব্যক্তিগত কারণে আমি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। এ সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতি আবেদন করছি। প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ ভাল থাকুক, জয় বাংলা- জয় বঙ্গবন্ধু।”
পদত্যাগ প্রসঙ্গে খান তারেক আকিজের ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা যায়, দলীয় বিশেষ একটি কুচক্রি মহলের ষড়যন্ত্রের কারণে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।
এদিকে তারেক আকিজের পদত্যাগ প্রসঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এক পক্ষ বলছেন- ‘খুলনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ এর মূল বাতিঘর খান তারেক আকিজ ভাই। মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ নামে আওয়ামীলীগ এর অঙ্গ হিসেবে আছে তা খুলনাবাসী তথা ৯টি উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়নবাসী জানত না। বহু কাঠখর পেড়িয়ে এই কাজটি করেছেন তিনি। তিনি অনেক কঠোর পরিশ্রম করেছেন দলের জন্য। সংগঠনের দায়িত্ব নিয়ে খুলনা শহর ও খুলনা জেলার বিভিন্ন থানায় তারেক ভাই যে কর্মতৎপরতা দেখিয়েছে তা অন্য কেউ পারেনি পারবেও না। তিনি যেমন প্রত্যেক কর্মীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে কর্মীদের খোঁজ খবর নিয়েছেন, তাদের সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিয়েছেন। তা আর কারোর দ্বারা সম্ভব হবে না।’
তারা আরো বলেন, ‘আজ হঠাৎ তারেক আকিজ বিদায় নিচ্ছেন কী কারনে তা আমরা জানতে চাই। তিনি যদি এই সংগঠন থেকে বিদায় নেন তাহলে খুলনা জেলা বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ খুলনা জেলার সংগঠন অচল হয়ে যাবে।’
অপরদিকে কিছু নেতাকর্মী বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়ে বলছেন- ধন্যবাদ ভাই, আপনার এই পদত্যাগকে স্বাগত জানাই। কারন, এখন প্রকৃত ত্যাগী ও রাজপথের লড়াকু মুজিব আদর্শের সৈনিকদের কোনো মূল্যায়ন নেই, এখন যারা দূর্নীতিবাজ, মাদক ব্যাবসায়ী, সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে পারবে তারাই দলের কাছে ভালো, বড় নেতা বনে গেছে। একদিকে জনননেত্রী শেখ হাসিনার মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় অন্যদিকে কিছু নীতিভ্রষ্ট নেতাদের কারণে ত্যাগী নেতা কর্মীরা অভিমানে আড়াল হয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে অবশ্যই এর খেসারত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কে দিতে হবে। আমরা দলের শীর্ষ নেতাদের সুদৃষ্টি ও আশু হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফাতেমা জলিল সাথীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১:২৬পিএম/১১/৬/২০১৮ইং)
আপনার মতামত লিখুন :