• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন

মিয়ানমারে পশুর রূপ ধারণ করেছে ফেসবুক!


প্রকাশের সময় : মার্চ ১৩, ২০১৮, ৯:৩০ PM / ৩৫
মিয়ানমারে পশুর রূপ ধারণ করেছে ফেসবুক!

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : মিয়ানমারে বিদ্বেষ ছড়ানোর মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধনে মুখ্য ভূমিকা পালন করায় ফেসবুককে দোষারোপ করেছেন জাতিসংঘের তদন্ত কর্মকর্তারা।

সোমবার জাতিসংঘ এই মন্তব্য করার পর তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

তবে আগে তারা বলেছিল, তাদের সাইটে মিয়ানমারের ছড়ানো বিদ্বেষমূলক পোস্ট মুছে দিতে এবং যারা এসব ছড়াচ্ছে তাদেরকে ব্লক করতে কাজ করছে।

গত বছরের আগস্ট মাসে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ মিলিশিয়ারা রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। এরপর থেকে প্রায় সাত লাখ মানুষ সেখান থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

পালিয়ে আসা বহু শরণার্থী মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং বৌদ্ধ মিলিশিয়ারা কিভাবে রোহিঙ্গাদের হত্যা ও ধর্ষণ করেছে তার বীভৎস বর্ণনা দেন।

জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বলেছেন, সামাজিক মাধ্যম সেখানে সহিংসতা ছড়ানোয় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

ইউএন ইন্ডিপেনডেন্ট ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন অন মিয়ানমারের চেয়ারম্যান মারজুকি দারুসমান বলেন, ফেসবুক সেখানে ‘ডিটারমিনিং রোল বা পরিস্থিতি নির্ধারণ করার মত ভূমিকা পালন’ করেছে।

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের মানুষের মধ্যে প্রচণ্ড তিক্ততা, অশান্তি, ও সংঘর্ষ সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখেছে ফেসবুক।’

মিয়ানমারে জাতিসংঘের তদন্ত কর্মকর্তা ইয়াঙহি লি বলেন, সেখানকার মানুষের সামাজিক, নাগরিক, ও ব্যক্তিগত জীবনের একটি বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে ফেসবুক। সরকার জনগণের মধ্যে বিভিন্ন তথ্য ছড়াতে এটি ব্যবহার করেছে।

তিনি বলেন, ‘উগ্র জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধরা নিজেদের মত করে ফেসবুক ব্যবহার করে এবং তারা রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ব্যাপক সহিংসতা ও ঘৃণার উস্কানি দিচ্ছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে, ফেসবুক তাদের মূল লক্ষ্য থেকে সরে গিয়ে এখন একটা পশুতে রূপান্তরিত হয়েছে।’

মিয়ানমারের সবচেয়ে কুখ্যাত চরমপন্থি জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ভিক্ষু উইরাথুর ধর্মোপদেশ প্রচারের উপর এক বছর মেয়াদি নিষেধাজ্ঞা শনিবার শেষ হয়েছে। কিন্তু, তার মুসলিমবিদ্বেষী ভাষণগুলোর সাথে রাখাইনের সহিংসতার কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/৯:৩০পিএম/১৩/৩/২০১৮ইং)