• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৬:০২ অপরাহ্ন

মালয়েশিয়ায় ‘মানব পাচার’ : যা বললেন অনন্য মামুন


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ৩, ২০১৮, ১২:২৪ AM / ৪৩
মালয়েশিয়ায় ‘মানব পাচার’ : যা বললেন অনন্য মামুন

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে সংবাদ সম্মেলন করলেন অনন্য মামুন। ওই সময় হাজির করেন কিছু দলিল। আরো জানান, সময় হলে অন্যান্য প্রমাণ তুলে ধরবেন।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মানব পাচারের অভিযোগে ২৪ ডিসেম্বর মালয়েশীয় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন এ চিত্রপরিচালক। ওই দেশের গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কিন্তু ১৩ জানুয়ারি দেশে ফিরে মামুন দাবি করেন কোনো মামলা হয়নি।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএফডিসির জহির রায়হান মিলনায়নে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন মামুন।

সেখানে মালয়েশীয় পুলিশের একটি চিঠি দেখান। যেখানে বলা হচ্ছে, মামুন ও অন্যদের সন্দেহভাজন হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু পরবর্তী তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের দেশে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয় ও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।

চিঠিতে বলা হয়, অনন্য মামুনসহ অন্যদের ‘মানব পাচার ও অভিবাসী চোরাচালান আইন-২০০৭’র ২৬ নং ধারা অনুযায়ী গ্রেফতার করা হয়েছিল। মালয়েশীয় পুলিশের স্পেশাল ব্যাঞ্চ বুকিট আমান পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছিল। চিঠির নিচে কুয়ালামপুরের ডাঙ্গ উয়াঙ্গি পুলিশ স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহরুদ্দিন বিন আবদুল্লাহ’র স্বাক্ষর রয়েছে।

এ চিঠিটি যে মালয়েশিয়ান পুলিশ দিয়েছে, তার গ্যারান্টি কী? এ প্রশ্নে মামুন বলেন, ‘আপনারা নিজেরা মালয়েশিয়ান পুলিশের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। ওখানে ই-মেল ও ফোন নম্বর দেওয়া আছে।’

মামুনের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সংগীতশিল্পী আসিফ, নায়ক ইমন ও নীরব।

আসিফ বলেন, ‘মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন পুলিশ এখন বাংলাদেশি পেলেই হয়রানি করছে। এর আওতায় সচিব, ডাক্তার, শিল্পী কেউ বাদ নেই।’

তিনি আরো বলেন, ‘আটকের পর আমি স্ট্যাটাসে মামুনকে দায়ী করেনি। সেখানে আমি বলেছিলাম, এ ঘটনা যদি সত্যি হয় তাহলে এর সাথে তো স্পন্সর লাইভ টেকনোলজিসের হাত থাকতে পারে। আমি সম্ভাবনার কথা বলেছি, কিন্তু নিশ্চিত করে বলিনি।’

আসিফ জানান, মামুনের স্ত্রী গ্রেফতারের পরও তার পাওনা পারিশ্রমিক পরিশোধ করে দেন। যা ছিল বিস্ময়কর।

মামুন লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, মালয়েশিয়ায় ‘ঢালিউড ব্লাস্ট’ শো করার আগে তার কাছে ৫০ হাজার রিঙ্গিত চাঁদা চাওয়া হয়। এরপর অনুষ্ঠানের দিন ৫০০ টিকেট চাওয়া হয়। তাতেও সুবিধা করতে না পেরে ১০ মিনিট লাইট অফ করে রাখা হয় অনুষ্ঠানস্থলে।

মামুন বলেন, ‘তারা আমাকে দেখে নেওয়া হুমকি দেয় এবং অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ করে। পুলিশ এসে তল্লাশি শুরু করলে আমি নিজে গিয়ে তাদের সাথে কথা বলি। আমার অসৎ কোন উদ্দেশ্য থাকলে তখনই পালিয়ে যেত পারতাম।’

প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী মামুন ৫৭ জনের টিম নিয়ে গিয়েছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন— ৩৮ জন শিল্পীসহ ৪৯ জনের টিম ছিল। সবাই দেশের ফিরে এসেছে এর প্রমাণ দিতে পারবেন।

শিল্পীরা মামুন আটকের পর বলেছিলেন, তাদের নিজের ব্যবস্থায় ফিরতে হচ্ছে। এ মামুন বলেন, ‘এটা হয়তো তারা তখন ভয় পেয়ে বলেছিলেন কিংবা না বুঝে। আমরা আয়োজকরা তাদের রিটার্ন টিকেটসহ করে দিয়েছিলাম।’ উপস্থিত নীরব ও ইমন তার কথায় সায় দেন।

অনেক শিল্পী এ ঘটনার পেছনে লাইভ টেকনোলজিসের হাত রয়েছে বলে দাবি করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। এ নিয়ে লাইভ মানমানির মামলা করবে বলেও জানান মামুন।

মামুন বলেন, ‘আমরা যদি অন্যায় করতাম এ ধরনের অভিযোগে আটক ও অভিযোগ প্রমাণিত হলে সবার পাসপোর্ট ব্ল্যাকলিস্টেট করে দেয় মালয়েশিয়া। তাহলে খোঁজ নিয়ে দেখেন আমাদেরটা করেছে কিনা?’

তিনি আরো বলেন, ‘যারা ষড়যন্ত্র করেছিল তাদের বিরুদ্ধে আমাদের মালয়েশিয়ান পার্টনার ডি কোম্পানি মামলা করেছে।’

এপ্রিল মালদ্বীপে এর চেয়ে বড় অনুষ্ঠান করবেন বলেও জানালেন মামুন।

এদিকে এ ঘটনায় মামুনকে আজীবন নিষিদ্ধ করে পরিচালক সমিতি। এ নিয়ে মামুন বলেন, ‘আমার জানা মতে সাময়িক নিষিদ্ধ। তারপরও আমি সদস্যপদ ফেরত পাবার আবেদন করেছি।’

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/কেএস/১২:২০পিএম/৩/২/২০১৮ইং)