• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন

মাংসের দর কি উন্মুক্ত, জনগণ কি লুটের অংশ?


প্রকাশের সময় : মার্চ ১২, ২০১৭, ৬:৩৭ PM / ৪৬
মাংসের দর কি উন্মুক্ত, জনগণ কি লুটের অংশ?
  • সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

মাংস ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। একটু কম দামে মাংস বিক্রয় ও খাওয়ার আশায় সর্বসাধারণ ও মিডিয়ায় এত প্রচার বাংলাদেশে আর হয়নি। ৬ দিনের ধর্মঘট ৮ দিন পালন করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট ৩টি বিষয় আলোচনার জন্য – জনগণের অধিকার, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও সরকারের সুনাম রক্ষার আন্দোলন ছিল ধর্মঘট।

এবিষয়ে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, এখন পর্যন্ত সরকারের দায়িত্বে যারা আছেন কোন আলোচনার ব্যবস্থা করেন নাই। সামনে পবিত্র রমযান মাস। উক্ত রমযান মাসে আর একটি ধর্মঘট হউক তা আমরা চাই না। কিন্তু মাংসের বাজার কিভাবে নিয়ন্ত্রণ হবে তাও জানিনা। কোন পরামর্শ নাই, ধর্মঘটের অপরাধে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির অফিসে তালা দেওয়া হয়েছে। গাবতলি গরু হাটের খাজনা দ্বিগুন করা হয়েছে আরো জনগণের অর্থ লুট করার আশায়। মাংস ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সরকারের আদেশ অমান্য করে অতিরিক্ত খাজনা আদায় হচ্ছে। সিটি করপোরেশনের কিছু দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তার কথা বলার অপরাধে মাংস ব্যবসায়ীদের শায়েস্তা করা হচ্ছে এবং জনতার উপর প্রতিশোধ নেয়া হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এদেশে মাংসের মূল্য কি উন্মুক্ত থাকবে, জনগণের কষ্টার্জিত অর্থ কি লুট হতে থাকবে, লুটেরাদের কি বিচারের আওতায় আনা যাবে না ? এখনতো কোন ধর্মঘট নাই, কিন্তু ঢাকায় অর্ধেকের বেশী মাংসের দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে পবিত্র রমযান মাসে মাংসের বাজার কেমন হবে জানি না। মাংস ব্যবসায়ীরা স্বেচ্ছায় কর্মবিরতি পালন করলে সমিতি ও সরকারের কিছুই করার থাকবে না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি কর্পোরেশন এতদবিষয়ে প্রয়োজনীয় ও কার্য্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশা পোষন করছি।