• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবীর আহাদের বাণী থেকে…


প্রকাশের সময় : মার্চ ২৪, ২০১৮, ২:১৪ PM / ৩৫
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবীর আহাদের বাণী থেকে…

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : সেই উনিশশো আটচল্লিশ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ভাষা-শিক্ষা-সাংস্কৃতিক আন্দোলনসহ স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের নানান পথপরিক্রমায় একাত্তর সালের ছাব্বিশ মার্চে তাঁর স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্যদিয়ে তাঁরই সর্বাধিনায়কত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের যাবতীয় শৌর্য বীর্য ত্যাগ ও বীরত্ব দিয়ে এক ঐতিহাসিক সশস্ত্র রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ তাই অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।

কিন্তু  বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সেই বীরত্বের চিহ্ন স্বাধীন বাংলাদেশ পরিচালনার সর্বচ্চো আইন জাতীয় সংবিধানে স্থান পায়নি। এটা বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতি চরম অবমাননা। ফলশ্রুতিতে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অহরহ অসম্মান প্রদর্শনসহ ইতিহাস বিকৃতির হোলিখেলা চলছে। সুখের কথা, দেরিতে হলেও, বঙ্গবন্ধু-কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মর্যাদাকে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। ফলে এখন আর কেউ বঙ্গবন্ধুর বিষয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখানোর দু:সাহস দেখাতে পারে না।

কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের মর্যাদা এখনো সাংবিধানিক আইনদ্বারা সুরক্ষিত নয় বলেই মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও বহু অ-মুক্তিযোদ্ধাসহ স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকাররাও অর্থ ও রাজনৈতিক প্রভাবে যখন-তখন মুক্তিযোদ্ধা হচ্ছে। এ-প্রক্রিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা ভুলুন্ঠিত হচ্ছে।

অপরদিকে অনেকেই মহান মুক্তিযুদ্ধকে ‘গন্ডগোলের বছর’, ‘ভাইয়ে ভাইয়ে যুদ্ধ’—— ‘এমনকি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ’ বলার দু:সাহস দেখিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনাকে পদদলিত করে চলেছে।

জাতীয় ইতিহাস ও গৌরবকে সমুন্নত রাখতেই এসবের অবসান ঘটাতেই হবে। অন্যথায় ভবিষ্যত প্রজন্ম ও ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না; কেউ আর জাতীয় স্বার্থে কোনো অবদান রাখবে না।

এসব কারণে জাতীয় স্বার্থে আমরা একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান এবং মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিতাড়নের দাবি তুলেছি। সুখের বিষয় আমাদের দাবি দু’টি আজ জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে। মূলত : এটি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার। এটিকে অস্বীকার করার কোনোই উপায় নেই।

আবীর আহাদ
লেখক গবেষক
আহ্বায়ক, একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা
২৪.৩.২০১৮ইং

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/২:১০পিএম/২৪/৩/২০১৮ইং)