• ঢাকা
  • সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১২:২৯ পূর্বাহ্ন

‘প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও মানবসম্পদের দক্ষতা বাড়াতে হবে’


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২১, ২০১৮, ১১:২১ AM / ৩১
‘প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও মানবসম্পদের দক্ষতা বাড়াতে হবে’

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের কারণে একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকুচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, অন্যদিকে তেমনি নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচনেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। সেজন্য প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও মানবসম্পদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। তা না হলে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুফল পাওয়া যাবে না। গতকাল ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এমন মত দেন।

সভাটি যৌথভাবে আয়োজন করে ডিসিসিআই ও বাংলাদেশ সেন্টার ফর ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভল্যুশন (বিডিফোরআইআর)। ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক।

পরাষ্ট্র সচিব বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচন করেছে। আমাদের তরুণ সমাজ এরই মধ্যে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহারে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের কারণে একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকুচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তেমনি কর্মসংস্থানের নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তাই বিষয়টি মোকাবেলায় আমাদের এখনই যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সামনের দিনগুলোয় যারা নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে পারবে, তারাই টিকে থাকতে পারবে। এ অবস্থায় আমাদের অবশ্যই নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে আরো বেশি মনোযোগী হতে হবে।

আবুল কাসেম খান বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব আমাদের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা, পণ্য উত্পাদন ও বিপণন সর্বোপরি সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে অভাবনীয় পরিবর্তন আনবে। বাংলাদেশকে এ বিপ্লবের সুবিধা আদায়ের জন্য এখনই প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সময়কালে রোবটিকস, ক্লাউড টেকনোলজি, ব্লকচেইন, থ্রিডি প্রিন্টিং, ন্যানোটেকনোলজি, বায়োটেকনোলজি প্রভৃতি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্ব পাবে। এসব প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। আর এজন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রণোদনা প্রদানে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।

অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিডিফোরআইআরের সহসভাপতি সৈয়দ তামজিদ উর রহমান। তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি, নতুন কর্মদক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের প্রকৃতির মতো বেশ কয়েকটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসা-বাণিজ্যের গতানুগতিক প্রক্রিয়া পরিহার করে ক্রেতাবান্ধব কার্যক্রম গ্রহণের উদ্যোগ নিতে হবে। নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মেলাতে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন এবং শিল্প ও শিক্ষার সমন্বয় আরো বাড়াতে হবে। এ শিল্পবিপ্লবের কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে, নতুন নতুন পণ্য উদ্ভাবন হবে। এছাড়া উত্পাদন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নের কারণে পণ্যের উত্পাদন বাড়ার পাশাপাশি দাম কমবে, যার মাধ্যমে সার্বিকভাবে অর্থনীতিতে নতুন গতির সঞ্চার হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের কারণে একদিকে যেমন নতুন কাজের দিগন্ত উন্মোচিত হবে, একই সঙ্গে কর্মচ্যুতিরও আশঙ্কা থাকবে। এজন্য আগামী ২০ বছরের মধ্যে আমাদের দেশের কর্মক্ষম প্রায় সাড়ে সাত কোটি মানুষকে পুনরায় প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে এবং আরো দুই কোটি মানুষকে নতুন উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে। বিদ্যমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো ও নতুন উদ্ভাবিত তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য বিদ্যমান শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।

গতকালের আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি কামরুল ইসলাম, সহসভাপতি রিয়াদ হোসেন, পরিচালক ইমরান আহমেদ, মো. আলাউদ্দিন মালিক, এসএম জিল্লুর রহমান ও ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ওসামা তাসীর, মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবির প্রমুখ।(বণিকবার্তা)

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১১:২৩এএম/২১/১২/২০১৮ইং)