• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৩:৩২ অপরাহ্ন

পলাশবাড়ীর মাঠ জুড়ে এখন সবুজের সমারোহ


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৩, ২০১৭, ৫:২৮ PM / ২৬
পলাশবাড়ীর মাঠ জুড়ে এখন সবুজের সমারোহ

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা প্রতিনিধি : পলাশবাড়ী উপজেলার ৯ ইউনিয়নের প্রতিটি মাঠের বুকে এখন সবুজের সমারোহ। দিগন্ত জুড়ে যে দিকে তাকায় শুধু সবুজ আর সবুজ। সবুজের সমারোহে চোখ জুড়িয়ে যায়। ইরি বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকের মুখে এখন হাসির ঝিলিক। গাইবান্ধা জেলার খাদ্যশস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত পলাশবাড়ী মাঠগুলো এখন কৃষকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবারে ইরি বোরো মৌসুমে উপজেলার ৯ ইউনিয়নে ২ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। গতবারে শ্রমিক সংকটের কারণে এবারও ইরি বোরো চাষ নিয়ে অনেকেই দ্বিধাগ্রস্ত শিকার হন।
তথ্যমতে এবারে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ইরি বোরো চাষ একটু কম হলেও ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। পলাশবাড়ী এলাকা বন্যাদুর্গত এলাকা হিসাবে এ অঞ্চলের কৃষকেরা এবার বোরো চাষ কে সৌভাগ্য হিসাবে মনে করছেন।
এদিকে উপজেলার ডিলারদের নিকট পর্যাপ্ত পরিমান তেল ও সার পাওয়ায় কৃষকরা অনেকটা আশ্বস্ত হয়েছে। গাইবান্ধা জেলার খাদ্য উৎপাদনে শীর্ষে রয়েছে পলাশবাড়ী উপজেলা।
উপজেলার মহেশপুর গ্রামের কৃষক মোঃ আজাদ সরদার বলেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এবারে আমরা অধিকহারে বোরো ধান চাষ করেছি। আশা করছি এবার বোরো ধানে বাম্পার ফলন হবে।
উপজেলার পলাশগাছি গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, ধান গাছে সময়মত পানি পাওয়ায এখন গাছ সবুজ বর্ণ ধারণ করেছে। চারিদিকে যেন সবুজের সমারহ। যেদিকে তাঁকাই দৃষ্টি যেন জুড়িয়ে যায়। এবার বড় ধরণের ঝর বা শিলা বৃষ্টি না হলে বরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে আমরা অনেক উপকৃত হবো এবং বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো বলে মনে করছি।
পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম বলেন, ইরি-বোরো ধান চাষে কৃষকেরা যাতে-. লাভবান
হতে পারে এবং কৃষকরা যেন বোরো চাষে কোন প্রকার সমস্যায় না পড়েন এ জন্য আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। যেখানেই সমস্য সেখানেই আমাদের উপস্থিতি এবং সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে অধিক ফলেন জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সচেষ্ট হতে আমরা সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার পলাশবাড়ী এলাকার কোথাও মাঝড়া পোকার আক্রমণ নেই। ফলে আমরা আশা করছি এবার রেকর্ড পরিমান জমিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে।

  (ঢাকারনিউজ২৪.কম/এনএম /০৫.২৮ পিএম/১৩//২০১৭ইং)