• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০২:০৩ পূর্বাহ্ন

পলাশবাড়ীতে ধানক্ষেতে নেক ব্লাস্টের প্রাদুর্ভাব,দিশেহারা কৃষক!


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৯, ২০১৭, ৮:২৬ PM / ৩৭
পলাশবাড়ীতে ধানক্ষেতে নেক ব্লাস্টের প্রাদুর্ভাব,দিশেহারা কৃষক!

ছাদেকুল ইসলাম রুবেবল: গাইবান্ধার প্রতিনিধি : লাগাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় চলতি মৌসুমে বিস্তীর্ণ বোরো ক্ষেতে শীষ পচা (নেক ব্লাস্ট) রোগের ব্যাপক আক্রমণ দেখা দেয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শে রোগ প্রতিরোধকারী ছত্রাকনাশক ওষুধ প্রয়োগ করেও ধানক্ষেত রক্ষা করতে পারছেন না।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, দূর হতে দেখলে মনে হবে ইরি-বোরো ক্ষেতে ধান পেকে গেছে। দিগন্তজুড়ে সোনালি ধানের শীষ দুলছে। কিন্তু ক্ষেতে নেমে শীষে পাকা ধানে চাপ দিলে বোঝা যায় ধানের ভেতরে চাল নেই। শীষ পচা রোগ সব চিটা করেছে। বিচ্ছিন্নভাবে উপজেলার প্রায় ২৫ ভাগ জমির বোরো ক্ষেতেই শীষ পচা (নেক ব্লাস্ট) রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাআজিজুল ইসলাম বলেন, নেক ব্লাস্ট ছত্রাক জাতীয় রোগ। এ রোগে আক্রান্ত ধানের ৭০ ভাগ পর্যন্ত ক্ষতি হয়ে যায়। এ রোগের প্রথম লক্ষণ ধান পাতায় চোখের মতো দাগ দেখা যায়। পরে তা গিট, গোড়া ও দানায় ছড়িয়ে পড়ে। এরপর পাতার রং সাদা হয়ে যায় ও ভিজা দাগ ধরে। শেষে ধানের শীষের চিটা হয় ও গাছ মরে যায়। বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ক্ষেতে প্রচুর পানি ধরে রাখার পাশাপাশি ধানের শীষ বের হওয়ার আগে জমিতে তরল কীটনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানো সম্ভব।

উপজেলার আমলাগছী এলাকার মাহাবুব বলেন, আমার হাইব্রিড জাতের ২ বিঘা ইরি-বোরো ক্ষেতে নেক ব্লাস্ট আক্রমণের ভয়ে কৃষি বিভাগের পরামর্শে ওষুধ প্রয়োগ করেছি। এখন পরিস্থিতি অনেকটা স্থিতিশীল রয়েছে। উপজেলার গোপালপুর গ্রামের হাবিবুর বলেন, আমার ২৮ জাতের ধানক্ষেতের শীষ মরে যাচ্ছে। উপজেলার কৃষি বিভাগের বলেন, চাষিদের ছত্রাক জাতীয় ওষুধ স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

  (ঢাকারনিউজ২৪.কম/এনএম ০৮.২৬পিএম/১৯//২০১৭ইং)