• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৩:৫৫ অপরাহ্ন

পলাশবাড়ীতে ইট ভাটার জ্বলন্ত ছাঁইয়ে শুকিয়ে গেছে বোরো ধানের ক্ষেত


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৩, ২০১৭, ৫:২৬ PM / ৩৩
পলাশবাড়ীতে ইট ভাটার জ্বলন্ত ছাঁইয়ে শুকিয়ে গেছে বোরো ধানের ক্ষেত

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার জেলা সড়কের দুপাশ^ ও গ্রামের মধ্যে ইটভাটার কারনে প্রায় ১০০ বিঘা জমির বোরো ধানের ক্ষেত শুকিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মধ্যে কেত্তারপাড়া গ্রামের হালিম জানান,ইনভাটা পাশে ২০ বিঘা ১২ কাঠা জমিতে বোরো চাষ করেছেন।
কয়েক দিন আগে রাতের ঝড়ে ভাটার চিমনি থেকে উড়ে আসা গরম ছাই পড়ে তার জমির ধান গাছ শুকিয়ে গেছে। ধান পাওয়া তো দূরের কথা বিচালি টুকুও পাওয়া যাবে না। এ ব্যাথা কাকে জানাবো বুঝতে পারছি না। গাছের শীষে ধানের ফলন আসার পর যে ভাবে শুকিয়ে গেছে তা ভাবতেই বুক ফেটে যাচ্ছে।
এছাড়াও একই গ্রামের কৃষক জামাত আলীর ১২ বিঘা,ফজর আলীর ৪ বিঘা,আবেদ আলী গাজীর ৪ বিঘাসহ প্রায় ১২৫ বিঘা জমির ধান গাছ শুকিয়ে গেছে বলেও জানান। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষদের মধ্যে আনেকে অন্যের জমি লীজ নিয়ে চাষ করেছেন। ধান না পেলে তাদেরকে অনাহারে অর্ধাহারে কাটাতে হবে।
তাই ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা ভাটা মালিক ও সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। মালিকপক্ষ বা সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণ না দিলে কৃষি বীজের দোকানে হালখাতা করতে পারবেন না।
পরিশোধ করতে পারবেন না চড়া সুদে নেওয়া ঋণ। তারা একে বারেই নিরুপায় হয়ে পড়বে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
এব্যাপারে ভাটার ম্যানেজার বলেন,ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সাথে একটা আলোচনা হয়েছে। ভাটার মালিক জানান,এটা প্রাকৃতিক দূর্যোগ। তারপরও ক্ষতিপূরন করা হবে। আনোয়ারুল ইসলাম বলেন,কৃষক ও গ্রামের লোকের সাথে কথা হয়েছে। এটা মিমাংসা হয়ে যাবে। কৃষি কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

  (ঢাকারনিউজ২৪.কম/এনএম /০৫.২৫ পিএম/১৩//২০১৭ইং)