• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন

নিমগাছ থেকে বিয়ার


প্রকাশের সময় : মার্চ ২৩, ২০১৭, ৭:৪৩ PM / ৪৬
নিমগাছ থেকে বিয়ার

নিমগাছ থেকে বের হচ্ছে বিয়ার

নিউজ ডেস্ক:

প্রকৃতির ভাণ্ডার অপার। এই প্যান্ডোরা বাক্সের অনেক রহস্যই এখনো অজানা মানুষের কাছে। ক্রমশ প্রকাশ্য সম্পদের খাতায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। পাঁচ দশক পুরনো এক নিম গাছ। যার কাণ্ড থেকে অলৌকিকভাবে নিঃসৃত হচ্ছে সাদা রঙের পানীয়। খেলেই ধরছে নেশা। আর এই নতুন নেশাতেই মজেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে ছোট-বড় কর্মীরা৷

নতুন এই পানীয়র নাম দেওয়া হয়েছে ‘নিম বিয়ার’। নভেম্বর থেকে যা পাওয়া যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাগবি স্টেডিয়ামের পাশের একটি নিম গাছ থেকে। প্রথম এই রস খেয়ে দেখেছিলেন ক্যাম্পাসে কাজ করতে আসা এক কর্মী। ২ থেকে ৩ গ্লাস খাওয়ার পরই নেশা বোধ করেন তিনি। এরপর থেকেই ছড়িয়ে যায় নিম বিয়ারের গুণ। প্রশংসকদের দাবি, এর মাধ্যমে শরীরের কোনো ক্ষতি হয়নি। উল্টে নিমের ঔষধি গুণ শরীরের উপকারই করবে।

ক্যাম্পাসে আরো ১৫টি নিম গাছ রয়েছে। কিন্তু শুধু একটি গাছটি থেকে বের হচ্ছে এই সাদা তরল পানীয়। কেন এমনটা হচ্ছে তার সঠিক কোনো কারণ এখনো পর্যন্ত খুঁজে পাননি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তবে গবেষকদের ধারণা, কোনো ব্যাক্টিরিয়ার কারণে গাছের ভেতরের তরল ফারমেন্টেড হতে শুরু করেছে।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই তরলের মাদক গুণ কমে আসছে। কিন্তু এর জনপ্রিয়তা কমেনি। গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে একটি পাত্র। যাতে প্রতিদিন জমা হয় এই সাদা তরল পানীয়। বহু দূর থেকে পাওয়া যায় এর গন্ধ। যা নাকি অনেকটা ভারতীয় দেশি মদ বা তাড়ির মতো।

প্রসঙ্গত, বছর কয়েক আগে বারাণসিতে এভাবেই এক নিম গাছ থেকে তরল নির্গত হতে দেখা গিয়েছিল। পরীক্ষার পর জানা যায়, তাতে স্যালিসাইক্লিক অ্যাসিড পাওয়া যায়৷ যা অ্যাসপিরিনের মতো ওষুধের মূল উপকরণ। সে কারণেই ধরছে নেশা। আর আপাতত তাতেই মজেছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর।

 স/নিপা